এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশের যুদ্ধে এক ইঞ্চিও ছাড় নয় তৃণমূলকে! ঘাসফুল বধে বড়সড় রণকৌশল গেরুয়া শিবিরের!

একুশের যুদ্ধে এক ইঞ্চিও ছাড় নয় তৃণমূলকে! ঘাসফুল বধে বড়সড় রণকৌশল গেরুয়া শিবিরের!

করোনা ভাইরাসের ফলে গোটা বিশ্ব যেমন চিন্তায়, ঠিক তেমনই ভারত ও পশ্চিমবঙ্গও চিন্তায় রয়েছে। যত দিন যাচ্ছে, ততই পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। আর তার মাঝেই সামাজিক দূরত্বকে মান্যতা দিতে গিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে শুরু করে নানা কর্মসূচি আপাতত মুলতুবি রয়েছে। যার ফলে সেইভাবে ময়দানে নামতে দেখা যাচ্ছে না কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের। তবে ঘরে বসেই আগামী নির্বাচনগুলোর ছক কষতে শুরু করেছে শাসক থেকে বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা।

বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অন্য কোনো ইস্যু নেই। আগামী দিনে নির্বাচনকে সামনে রেখে তাই এখন করোনাকেই প্রধান ইস্যু হিসেবে তুলে ধরে শাসক থেকে বিরোধী সকলেই একে অপরের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নিয়ে সোচ্চার হতে শুরু করেছেন। আগামী 2021 সালে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। তাই তার আগে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে সামাজিক দূরত্বকে মান্যতা দিয়ে ঘরে বসে নিজেদের রণকৌশল সাজাচ্ছেন তৃণমূল থেকে বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস নেতারা।

সূত্রের খবর, তৃণমূলের পক্ষ থেকে আইটি এবং মিডিয়া সেলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিরোধীদের যেকোনো প্রচারের মোকাবিলা করতে প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে তৃণমূল প্রচার চালাচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপিও এইদিকে কম যায় না। বলাই বাহুল্য, বিজেপি প্রথম থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত পরিপক্ক ভাবে তাদের প্রচার চালায়। এক্ষেত্রে এখন বাড়িতে বসে নিজেদের আইটি সেলের কর্মীদের দিয়ে আরও ভালো করে বাংলায় করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, রাজ্যস্তরে 12 জন বিজেপি কর্মী এই দায়িত্বে রয়েছেন। অন্যদিকে জেলা, মন্ডল এবং বুথস্তরের 30 হাজারেরও বেশি বিজেপি কর্মী রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে করোনা মোকাবিলায় প্রচার চালাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তথ্য চেপে যাওয়া থেকে শুরু করে রেশনে দুর্নীতি, সমস্ত বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরে তৃণমূলকে ব্যাকফুটে’ ফেলতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুখ খোলেন।

মেদিনীপুরের সাংসদ এদিন বলেন, “করোনার লকডাউনে ময়দানে নেমে প্রচারের পরিস্থিতি নেই। তাই প্রচার করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়াতেই। সোশ্যাল মিডিয়ার সেই যুদ্ধে আইটি এবং মিডিয়া সেলে জোর দিতেই হবে। সেই মত আইটি ও মিডিয়া সেলে লোক বাড়িয়ে বিজেপি করোনার আবহে প্রচার চালাচ্ছে।” অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও বিজেপির করা এই প্রচারের জবাব দিতে প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মত আইটি সেল প্রস্তুত রয়েছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা মোকাবিলা করা অপেক্ষা এখন তাকে নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়িই সবথেকে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসক-বিরোধী দুই রাজনৈতিক দলের কাছেই। তাদের প্রত্যেকেরই লক্ষ্য ভোটব্যাঙ্ক। তাই এখন থেকেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে একে-অপরের বিরুদ্ধে নিজ নিজ আঙ্গিকে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে সরব হচ্ছেন তারা। তবে এসব দেখে সাধারন মানুষ কিছুটা হতাশ হলেও – যত দিন যাবে এই লড়াইয়ের উত্তাপ ততই তীব্র হবে বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের।

বিশেষ করে লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ১৮ টা আসন ছিনিয়ে নেওয়ার পরে বিজেপির লক্ষ্য নবান্নের কুর্শি দখল। গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহল বলছে, এমনিতেই মমতা ব্যানার্জির সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া রয়েছে। তার উপরে করোনা পরিস্থিতিতে তৃণমূলের অবস্থান নাকি সেই ক্ষোভ আরও বাড়িয়েছে। ফলে, আগামী দিনে যে তৃণমূল কংগ্রেসকে আরও বেকায়দায় ফেলতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার গেরুয়া শিবিরের অন্যতম মাস্টারপ্ল্যান হতে চলেছে – সে ব্যাপারে কার্যত নিঃসন্দেহ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!