এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরতেই লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা! করোনা চিন্তা আরও তীব্র বাংলায়!

পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরতেই লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা! করোনা চিন্তা আরও তীব্র বাংলায়!

কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের নির্দেশানুসারে লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব সমস্ত কিছুই পালন করা হচ্ছিল। করোনা ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে সর্বত্র সচেতনতা জারি করা হয়েছে। কিন্তু এরই মাঝে তৈরি হল আশঙ্কা এবং আতঙ্ক। এবার রাজস্থানের আজমের থেকে মালদহ জেলায় ফেরা 200 শ্রমিকের মধ্যে 10 জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই তীব্র আতঙ্ক তৈরি হল গোটা জেলা জুড়ে। যার ফলে জেলার অন্যান্য সাধারন মানুষদের মধ্যে এখন আশঙ্কার শেষ নেই।

অনেকেই বলছেন, এতদিন ধরে লকডাউন পালন করে তাহলে আখেরে লাভটা কি হল? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 6 মে রাজস্থানের আজমির থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে পশ্চিমবঙ্গে ফিরেছেন 279 জন শ্রমিক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্টেশনেই তাদের শারীরিক পরীক্ষা করে তারপর তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়। জানা গেছে, এর মধ্যে বেশিরভাগ মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। আর বাড়ি ফেরার পরেও নিয়ম মেনে সমস্ত শ্রমিকদের সোয়াব টেস্ট করা হয়েছিল।

তবে প্রথমে সাতজনের এবং পরবর্তীতে সেই সংখ্যাটা বেড়ে 10 জনের পজিটিভ রিপোর্ট আসায় এখন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আর শ্রমিকদের পরীক্ষা করে ছেড়ে দেওয়ার পরেও যেভাবে তাদের এখন করোনা পজেটিভ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসল, তাতে এতদিন সেই শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে কার কার সাথে মিশেছে এবং যাদের যাদের সাথে মিশেছে, তাদের দ্বারা অন্যত্র যে এই করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হয়নি, তার নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না কেউ। যার ফলে চিন্তা বাড়ছে গোটা মালদাবাসীর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের মতে, ইতিমধ্যেই এখনও অনেক শ্রমিক পশ্চিমবাংলার বাইরে রয়েছেন। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনিক স্তরে তৎপরতা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে এই সমস্ত শ্রমিকদের মত যদি তাদের নামমাত্র পরীক্ষা করে বাড়ি পাঠানো হয় এবং তারপর যদি তাদের শরীরে করোনা ভাইরাস দেখা দেয়, তাহলে তো বাংলায় এই ভাইরাস থামার কোনো লক্ষ্মণ দেখা যাবে না। যার ফলে কার্যত মহামারীর আকার ধারণ করবে করোনা ভাইরাস।

তাই এখন সকলেরই দাবি, শ্রমিকরা ঘরে ফিরে আসুক। কিন্তু তাদের পর্যাপ্ত পরীক্ষা এবং কোয়ারেন্টাইনে রেখে তারপর তাদের নিজের বাড়িতে পাঠানো হোক। সব মিলিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুরে ফেরত আসা শ্রমিকদের মধ্যে 10 জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট চলে আসায় এখন রীতিমতো শোরগোল তৈরি হয়েছে গোটা মালদহ জেলা জুড়ে। সকলের এখন একটাই চিন্তার কারণ, এই সমস্ত শ্রমিকরা এতদিন কাদের কাদের সংস্পর্শে এসেছেন!

তবে যে ভুল অতীতে হয়েছে, তা যাতে আর ভবিষ্যতে না হয়, তার জন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোয়ারেন্টাইনে রেখে তার পরেই সেই সমস্ত মানুষদের লক্ষণ দেখে তাদের ছেড়ে দেওয়া উচিত। এমনিতেই বাংলায় যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তা নিয়েই অনেকের রাতের ঘুম উড়েছে। এখন পরিযায়ী শ্রমিকদের যখন ফেরানো হচ্ছে – তখন সেই সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধি পাওয়ায়, সরকার এই নিয়ে আরও সাবধানতা অবলম্বন করবে বলেই মনে করছে নসকলে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!