এবারের লোকসভা ভোটে রাজ্য জুড়ে যেমন তৃণমূলের খুব একটা ভাল হয়নি, ঠিক তেমনই বীরভূমের দুটি লোকসভা আসনে তৃণমূল জয়লাভ করলেও পুরসভায় তাদের হার হয়েছে। আর লোকসভায় তৃণমূলের খারাপ ফলাফল হওয়ার পরই শাসকদলের একাধিক জনপ্রতিনিধিরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখাতে শুরু করেন। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

আর এরই মাঝে সম্প্রতি বীরভূমের দুবরাজপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে একটি খবর রটতে শুরু করে।এদিকে প্রভাত চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাচ্ছেন বলে নানা মহলে জল্পনা সৃষ্টি হলে রবিবার বিকেলে এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

এদিন তিনি বলেন, “দুবরাজপুরের শহর সভাপতি কোনো কর্মসূচীতে আসছেন না। শুনছি তিনি নাকি গিরগিটি হবেন। সাত দিন সময় দিলাম। দলে থাকতে চাইলে সেই সময়ের মধ্যে ফিরুন, নইলে দলের কিছু যাবে আসবে না।” তবে তিনি এখনই কারো কোনো কথা না শুনেই কিছু বলবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রভাত চট্টোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, 16 টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট এই দুবরাজপুর পৌরসভায় 30 হাজার 81 জন ভোটারের মধ্যে এবার মোট 24 হাজার 842 জন ভোটার তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। যেখানে বিজেপি 12 হাজার 450 টি ভোট এবং তৃণমূল 9 হাজার 938 ভোট পেয়েছে। ফলে বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীরা জয়লাভ করলেও পুরসভায় যেভাবে তাদের হার হয়েছে, তা নিয়ে প্রবল চিন্তায় পড়েছে শাসক দল।

আর এরই মাঝে সেই দুবরাজপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগদানের খবর রটতেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র ধন্দের সৃষ্টি হয়েছিল। আর সেই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুলে প্রভাত চট্টোপাধ্যায়কে সময়সীমা বেঁধে দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যা প্রভাতবাবুর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের জল্পনাকে আরও তীব্র থেকে তীব্রতর করে তুলল বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।