এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপি করার অপরাধে সরকারি প্রকল্প থেকে ব্রাত্য! বিস্ফোরক অভিযোগে বিদ্ধ তৃণমূল!

বিজেপি করার অপরাধে সরকারি প্রকল্প থেকে ব্রাত্য! বিস্ফোরক অভিযোগে বিদ্ধ তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বারবার বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে বলেও সরব হতে দেখা গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে। কিন্তু এবার সেই তৃণমূলের বাংলাতেই বিজেপি করার অপরাধে 100 দিনের কাজ থেকে বঞ্চিত হলেন শতাধিক পরিবার। স্বাভাবিকভাবেই এই অভিযোগ সামনে আসার পর ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত। বিরোধী রাজনৈতিক দল করার অপরাধে কখনও একঘরে করে দেওয়া, আবার কখনও বা তাদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে চা না খাওয়ার নিদান দিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট জনপ্রতিনিধিদের। কিন্তু এবার সরাসরি সাধারণ মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত কাজ থেকে যেভাবে বিজেপি করার অপরাধে বাদ দেওয়া হল একাধিক পরিবারকে, তাতে শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে, বীরভূমের মনোহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ঠিকমতো 100 দিনের কাজ দেওয়া হচ্ছে না। এক্ষেত্রে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সেই কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিমাতৃসুলভ আচারণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। মূলত, যারা বিজেপি সমর্থক বলে পরিচিত, তাদেরকে এই কাজ বন্টনের ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে। অর্থাৎ তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে 100 দিনের কাজ সকলের জন্য সমান ভাবে বরাদ্দ করার কথা থাকলেও, এক্ষেত্রে বেছে বেছে বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং তাদের পরিবারকে সেই কাজ না দেওয়ার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। আর অনুব্রত মণ্ডলের মত দাপুটে তৃণমূল নেতার শক্ত ঘাটিতে এই ধরনের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী সৌমি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তো সকলের জন্য। আমরা বিজেপি করি বলে এমন করবে! পেটের ভাত মারবে! যারা তৃণমূল করে, তাদেরতো কাজ পেতে অসুবিধা হচ্ছে না। প্রতিবাদ করলে বাড়ি বাড়ি এসে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।” যদিও বা তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে সাত্তোর অঞ্চল তৃনমূলের সভাপতি আনোয়ার সিকদার বলেন, “মোহনপুরের মানুষজন তৃণমূলের উপর মিথ্যা অপবাদ চাপাচ্ছে। অঞ্চলের সমস্ত গ্রামেই 100 দিনের কাজের প্রকল্প চলছে। মনোহরপুর গ্রামের মানুষ কাজ পাচ্ছে। এবার যদি কেউ কাজের জন্য না আসে, তাহলে তার বাড়িতে গিয়ে কি কাজ দিয়ে আসা হবে!”

অর্থাৎ বিজেপির পক্ষ থেকে কাজ বন্টন করার ক্ষেত্রে বিমাতাসুলভ আচরণ এর অভিযুক্তরা হলেও তাকে সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দিচ্ছে শাসক দল। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গলায় সব সময় নিরপেক্ষতার কথা শোনা যায়। এক্ষেত্রে সকলকে যাতে পরিষেবা দেওয়া হয়, তার জন্য বার্তা দেন তারা। কিন্তু তাদের সেই বার্তাকে লঙ্ঘিত করে বীরভূমের এই মোহনপুর পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কাজ বন্টনে বাছাই করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!