এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় ‘সাক্ষী লোপাটের’ জন্য আরেক বিজেপি কর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ!

বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় ‘সাক্ষী লোপাটের’ জন্য আরেক বিজেপি কর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর পর থেকেই তাদের দলের নানা নেতাকর্মীকে খুন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল বিজেপির তরফে। বর্তমানে রাজ্য জুড়ে বিজেপির পক্ষ থেকে দলের কর্মীদের উপর আক্রমণ থেকে শুরু করে খুন, নানা ঘটনায় তৃণমূলের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। আর এবার বিজেপির এক কর্মীকে খুনের ঘটনায় মুল সাক্ষী সেই বিজেপির আরেক কর্মীকে পিটিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই কালিপুরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘাত নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। গত বছরের অক্টোবর মাসের শেষের দিকে এই এলাকায় বিজেপি কর্মী আমির আলী খানকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর সেই সময় গোটা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন রেজাবুল নামে আরেক বিজেপি কর্মী। কিন্তু এবার সেই রেজাবুলকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পিটিয়ে খুন করার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার সময় তারকেশ্বর নদ সংলগ্ন পীরতলায় রেজাবুলবাবু দলের কয়েক জনের সঙ্গে গল্প করছিলেন। আর সেখানে তৃণমূল কর্মীরা উপস্থিত হলে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা তৈরি হয়। আর এরপরই লাঠি নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে এই শেখ রেজাউলকে গুরুতর আহত অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজের ভর্তি করা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

আর এই গোটা ঘটনায় এখন বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, মৃত বিজেপি কর্মীর সাক্ষীকে শেষ করে দেওয়ার জন্যই তৃণমূলের পক্ষ থেকে শেখ রেজাবুলকেও পিটিয়ে খুন করার চেষ্টা হল।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “আমাদের দলীয় কর্মীর খুনের সাক্ষীকেও খুন করার পরিকল্পনা ছিল তৃণমূলের।” যদিও বা বিজেপির তোলা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে আরামবাগ শহর তৃণমূল সভাপতি রাজেশ চৌধুরী বলেন, “পাড়াগত ঝামেলার জেরে আগের খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল। এবারের গোলমালে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। মদ খাওয়ার সময় দু’পক্ষের মারপিট হয়েছে। বিজেপি সেই ঘটনা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে।”

তবে যেভাবে নিহত বিজেপি কর্মীর সাক্ষীকে পিটিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি, তাতে তৃণমূল এখানে অনেকটাই চাপে পড়ল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!