এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিজেপি নেতার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে! অস্ত্র নিয়ে থানা ঘিরল আদিবাসীরা

বিজেপি নেতার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে! অস্ত্র নিয়ে থানা ঘিরল আদিবাসীরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার বিজেপির বুথ সভাপতির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার বোয়ালদাড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি নেতার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। যে ঘটনায় মুল অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে।

আর তারপরেই শনিবার অভিযুক্ত ব্যক্তির শাস্তির দাবিতে বালুরঘাট থানায় এসে ঘেরাও করেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। রীতিমতো তীর-ধনুক লাঠি নিয়ে বালুরঘাট থানায় এসে অভিযুক্তের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বোয়ালদার পঞ্চায়েতের নারায়ণ পুরের বাসিন্দা এই মহিলার স্বামী এলাকার বিজেপির নেতা হিসেবে পরিচিত।

এদিন সেই মহিলা অভিযোগ করেন যে, কাজের কারণে তার স্বামী বাইরে ছিলেন। বাড়িতে তিনি একাই শুয়ে ছিলেন। আর সেই সময় প্রতিবেশী যুবক দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। আর এরপরই সেই মহিলা চিৎকার করলে এলাকাবাসী সেখানে এসে উপস্থিত হয়। যার পর সেই যুবক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। আর বিজেপির বুথ সভাপতির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় ব্যাপক চাপে পড়েছে সেই অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বালুরঘাট থানা ঘেরাও করতে এসে বোয়ালদারের বিজেপি অঞ্চল সভাপতি ফেলু রায় বলেন, “এলাকায় বিজেপির বুথ সভাপতির অনুপস্থিতির সুযোগে ওই তৃণমূল কর্মীদেরকে ধর্ষণ করে। আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” এদিকে এই গোটা বিষয়ে 24 ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে না হলে বড়সড় আন্দোলন হবে বলে হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

এদিকে এই ব্যাপারে মুখ খুলেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। এদিন এই প্রসঙ্গে বালুরঘাট টাউন তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি বলেন, “এই মুহূর্তে সকলেই তৃণমূল। ওই ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী কিনা জানি না। তবে বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। দোষী সাব্যস্ত হলে আইন আইনের পথে চলবে।”

আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, যেভাবে তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে বিজেপি নেতার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, তাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি নতুন করে রাজনৈতিক অস্ত্র পেয়ে গেল। আরে গোটা ঘটনায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নতুন করে বিজেপির রাজনৈতিক বিরোধিতাকে সরিয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!