এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ক্রমশ ভাঙছে বিজেপি, রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর হাত ধরে ফের বড় যোগদান তৃনমূলে!

ক্রমশ ভাঙছে বিজেপি, রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর হাত ধরে ফের বড় যোগদান তৃনমূলে!

গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখে অনেকেই উপলব্ধি করেছিলেন যে, এবার হয়ত জঙ্গলমহল ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে গেল। ক্ষমতায় আসার পর যে জঙ্গলমহলের উন্নয়নে ব্রতী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্থানীয় নেতা, মন্ত্রীদের দুর্ব্যবহারের কারণে তা লোকসভায় হারাতে হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। যার ফলে সেখানে ব্যাপক পরিমাণে পদ্ম ফুটিয়ে তৃণমূলের জঙ্গলমহল প্রবেশের রাস্তাকে বন্ধ করে দিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একবারটি বলে গিয়েছিলেন, “রাস্তা কারও একার নয়।” আর রাজনীতিতে কখন কার রাস্তা কে দখল করে নেবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারবেন না কেউ। তাই এবার জঙ্গলমহলের যে রাস্তায় পদ্ম ফুটেছিল, সেই রাস্তা থেকে পদ্মকে উপরে দিয়ে সেখানে ঘাসফুল ফোটাতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

সূত্রের খবর, এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির দুই সদস্য মিঠু মাহাতো এবং ফুলমণি সোরেন। জানা যায়, এদিন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে বিজেপির এই দুই সদস্যকে নিয়ে যায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। আর সেখানেই পার্থবাবুর হাত ধরে বিজেপির এই দুই সদস্যের তৃণমূলে অভিষেক ঘটে। এদিকে গত লোকসভায় জঙ্গলমহলের তৃণমূলকে হটিয়ে দিয়ে বিজেপি ভালো ফল করলেও, হঠাৎ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার এই হিড়িক রীতিমত উৎসাহিত করছে রাজ্যের শাসক শিবিরকে। কিন্তু হঠাৎ বিজেপির সদস্যদের তৃণমূলে যোগদান কেন!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী বীরবাহা সোরেন বলেন, “নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিজেপির ওপর বীতশ্রদ্ধ হয়েই ওই পঞ্চায়েত সদস্য ও বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।” তবে এই দুই পঞ্চায়েত সদস্যের তৃণমূলে যোগদান করাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় শথপতি বলেন, “2018 র পঞ্চায়েত ভোটের পরেই ওই সমস্ত সদস্যরা তৃণমূলে গিয়েছিলেন। একই সদস্যদের বারবার তৃণমূলে যোগদানের নাটক করা হচ্ছে।” সত্যিই কি তাই! বারবার এক সদস্যদের যোগদান করানোর ঘটনাকে দেখিয়ে তাহলে কি বিজেপিকে ব্যাকফুটে ফেলার কৌশল করছে শাসক শিবির!

তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপি ভীত, সন্ত্রস্ত হয়ে গিয়েছে। তাই এখন তারা এই সমস্ত উল্টোপাল্টা কথা বলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষ চোখের সামনে যা দেখবে সেটাকেই সত্য বলে মনে করবে। সেদিক থেকে লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে বিজেপি যে সমস্ত জায়গায় ভালো ফল করেছিল, সেই সমস্ত জায়গায় তাদের ভাঙ্গন লক্ষ্য করা গেছে। এখন কেন এই ভাঙ্গন! যে বিজেপি বাংলা দখলের স্বপ্নে বিভোর হয়ে রয়েছে, নানা কারণে এখন যদি এভাবেই তাদের ভাঙন অব্যাহত হতে থাকে, তাহলে তাদের সেই স্বপ্ন কতটা বাস্তব রূপ নেবে! তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!