এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > যে ঘাস মানুষের ক্ষতি-সমস্যা করছে, তা রাখা যাবে না, জ্বালিয়ে দিতে হবে! বিস্ফোরক শান্তনু

যে ঘাস মানুষের ক্ষতি-সমস্যা করছে, তা রাখা যাবে না, জ্বালিয়ে দিতে হবে! বিস্ফোরক শান্তনু


যতদিন যাচ্ছে, বাংলার রাজনৈতিক ময়দানে ঘাসফুল বনাম পদ্মফুলের লড়াই আরো তেতে উঠছে। সামনে আসছে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। অর্থাৎ বাংলার মসনদ দখলের লড়াই। এই উপলক্ষে এবার নিজেদের সাংগঠনিক জমি শক্ত করে রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের দিকে আক্রমণের তীর নিক্ষেপ করতে শুরু করেছে। ঠিক এইকথা মাথায় রেখেই এবার রাজ্যের শাসক দলের প্রতি তীব্র কটাক্ষের সঙ্গে বক্তব্য রাখলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলে মনে করা হচ্ছে।

বরাবরই বনগাঁর ঠাকুরবাড়ি রাজনৈতিক ময়দানে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে থাকে। একই পরিবারের দুই সদস্যকে আমরা 2 বিপরীত রাজনৈতিক দলে দেখতে পাই। সম্প্রতি বনগাঁতে তৃণমূল শিবির বিজেপির বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করেছে বলে জানা গেছে। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে এবার বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর রাজ্যের শাসক দলকে একহাত নিলেন। এদিন তিনি বলেন, ঘাসের জমিকে সম্পূর্ণরূপে জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা।

তিনি এদিন তৃণমূল সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 2021 এ বাংলা থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে তৃণমূল। রীতিমত কটাক্ষ করে এদিন বিজেপি সাংসদ বলেন, যে ঘাস মানুষের জন্য সমস্যা তৈরি করবে তা তারা কেটে জ্বালিয়ে দেবেন। এদিন শান্তনু ঠাকুর দাবি করেন বনগাঁয় তৃণমূলের চরম সন্ত্রাস চলছিল। এবং সেই সন্ত্রাসের জবাব দেওয়ার জন্যই বনগাঁ জুড়ে মানুষ বিজেপির হাত ধরে পরিবর্তন এনেছে। আবারও তৃণমূল শিবির নতুন করে বনগাঁয় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। এবার সরাসরি বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শাসক দলকে আক্রমণ করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ এদিন অভিযোগ করেন, বনগাঁ অঞ্চলে রাজ্য সরকার করোনা মোকাবিলায় পুরোপুরি ব্যার্থ্য। শুধু তাই নয়, আমফানের পরেও ত্রাণ বন্টনে দেখা গেছে বিস্তর অভিযোগ। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষ আন্দোলন করছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এবং তাঁদের পাশে বিজেপি থেকে সহায়তা করছেন বলে দাবি করেন শান্তনু ঠাকুর। তাঁর মতে, 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে বিজেপি অর্ধেক জমি করায়ত্ত করেছে। কিন্তু 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে ঘাসফুল শিবির পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত শাসক দলের পক্ষ থেকে কেউ কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি বলে জানা গেছে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, আগামী দিনের যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে যেভাবে রাজ্য বিজেপি শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তা কিন্তু শাসক দল যদি প্রতিহত না করতে পারে অদূর ভবিষ্যতে শাসকদলের বাংলা থেকে নিশ্চিহ্ন হতে কিন্তু সত্যিই সময় লাগবে না। আপাতত পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!