বাংলার ফেডারেল ফ্রন্ট! তৃণমূলকে আটকাতে বিজেপি-বাম-কংগ্রেসের মহাজোট উত্তরবঙ্গ রাজ্য August 25, 2018 দেশে বিজেপিকে সরাতে যখন একজোট হয়েছে তৃনমূল, কংগ্রেসের এবং বামেদের মত রাজনৈতিক দলগুলো – ঠিক তখনই রাজ্যের ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতে শাসকদল তৃনমূলকে ঠেকাতে এক ছাতার তলায় আসতে চলেছে বাম, কংগ্রেস ও বিজেপির মত রাজনৈতিক দলগুলো। সূত্রের খবর, দক্ষিন দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লকের ১৭ আসনবিশিষ্ট সৈয়দপুর পঞ্চায়েতে কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই এবার এই পঞ্চায়েতে শাসকদলকে ঠেকাতে বাম, বিজেপি, কংগ্রেস ও নির্দলের মোট ১০ জন সদস্য একত্রিত হতে শুরু করেছেন। তাহলে কি এই পঞ্চায়েতে একসাথেই বোর্ড গড়বে সব বিরোধী দলগুলো? এ প্রসঙ্গে হরিরামপুরের সিপিএম বিধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, “পঞ্চায়েতে এখানে নির্দল ও কংগ্রেসের সাথে আমরা একজোট হয়ে লড়েছি। একসঙ্গে পঞ্চায়েতও গড়ব”। তবে বাম, নির্দল ও কংগ্রেস একসাথে থাকলে সেখানে কি বিজেপিও তাঁর শরিক হবে? এই ব্যাপারে জেলা বিজেপির সম্পাদক মানস সরকার বলেন, “বোর্ড গঠনে তৃনমূলকে আটকাতে তৃনমূল বিরোধী সমস্ত অংশের পাশে আমরা আছি”। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে একই কথা শোনা গেছে এই পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের জয়ী সদস্য রানি বেসরার গলাতেও। অন্যদিকে এই সৈয়দপুরে বোর্ড গঠন নিয়ে হরিরামপুরের তৃনমূল ব্লক সভাপতি হাতেম আলি বলেন, “আমাদের ছজন সদস্য রয়েছেন। বিরোধীদের দুজন যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। বোর্ড গড়তে না পারলে বিরোধী হিসাবেই থাকব। দেখা যাক – কি হয়”! এদিকে জেলার হরিরামপুরে যখন বোর্ড গড়ার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে শাসক শিবিরে ঠিক তখনই এই জেলার কুশমন্ডির বেরোইল পঞ্চায়েতেও সেই একই অবস্থা। জানা গেছে, ১৬ আসনবিশিষ্ট এই বেরোইল পঞ্চায়েতে তৃনমূল সাতটি, বাম-কংগ্রেস জোট ছয়টি এবং বিজেপি তিনটি আসন পেয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিরোধীদলের এক সদস্য শাসকদলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশও করেছে। এ ব্যাপারে দক্ষিন দিনাজপুর জেলা তৃনমূলের সাধারন সম্পাদক সুনির্মল জ্যোতি বিশ্বাস বলেন, “এখানে কোনো দলের সমর্থন নেব না। বিরোধীদের কেউ যোগদান করলেই এখানে বোর্ড গঠন করব আমরা”। রাজনৈতিক মহলের মতে, বেরোইলে শাসকদল বোর্ডগঠন করলেও হরিরামপুরের সৈয়দপুরের সম্মিলিত বিরোধী শক্তির কাছে সেই শাসককেই মাথানত করতে হয় কি না সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় বিরোধীদের এই মহাজোট যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলেই ধারণা রাজনৈতিম মহলের। কেননা লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে আটকাতে নীচুতলায় কর্মীদের বোঝাপড়া এতে বেড়ে গেল বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। আপনার মতামত জানান -