জলপাইগুড়ির মন্ডল সভাপতিদের মধ্যে বার্ধক্যের ছাপ! তুমুল ক্ষোভ গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই উত্তরবঙ্গ রাজ্য November 27, 2019 বিশেষজ্ঞরা বলেন, যে দলে ছাত্র এবং যুবদের প্রভাব বেশি থাকে, সেই দল ততই শক্তিশালী হয়। এককালে রাজ্যের ভূতপূর্ব শাসকদল বামফ্রন্ট নিজেদের ছাত্র এবং যুব সংগঠনকে শক্তিশালী করে 35 বছর রাজ্যে শাসন করেছিল। তবে বামফ্রন্টকে সরিয়ে এই রাজ্যের ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস আসলেও তাদের ছাত্র এবং যুব সংগঠন ততটা শক্তিশালী ছিল না। যার সুযোগে বিজেপি রাজ্যের ছাত্র-যুবদের মন জয় করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। অনেক ক্ষেত্রে তারা সাফল্যও পেয়েছিল। যার চূড়ান্ত নমুনা সদ্যসমাপ্ত 2019 সালের লোকসভা নির্বাচন। যেখানে যুব সমাজের বেশিরভাগ সমর্থন গেরুয়া শিবিরের ভোটবাক্সে পড়েছে বলে দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। আর তার ফলেই বিজেপি বাংলার 42 টি আসনের মধ্যে 18 টি আসন দখল করেছে বলে মনে করছে একাংশ। আর এই পরিস্থিতিতে যখন বৃদ্ধতন্ত্রকে-সরিয়ে নবীনতন্ত্রের দিকে সওয়াল করছে গেরুয়া শিবির, ঠিক তখনই জলপাইগুড়িতে মন্ডল সভাপতি পদে সেই বৃদ্ধদেরই বেশি প্রাধান্য দেওয়ায় উঠতে শুরু করল প্রশ্ন। শুধু তাই নয়, জেলায় মন্ডল সভাপতি গঠনকে কেন্দ্র করে এদিন বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। যার কারণে তিনটি মন্ডল সভাপতি গঠন করতে কার্যত অপারগ থাকতে হল বিজেপি নেতৃত্বকে। বস্তুত, গত 6 সেপ্টেম্বর থেকে বিজেপির বুথ সভাপতি নির্বাচনের কাজ শুরু হয়। আর বুথ কমিটি গঠনের পরেই শুরু হয় মন্ডল কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া। সেইমত এদিন জলপাইগুড়ি জেলায় মন্ডল সভাপতি গঠনের কাজ ছিল। তবে জেলার 30 টি মন্ডলের মধ্যে এদিন 27 টি মন্ডল গঠন করেই সেই কাজ সারতে হয় গেরুয়া শিবিরকে। কিন্তু কেন তিনটি মন্ডল গঠনের কাজ বাকি রাখল বিজেপি? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, জলপাইগুড়ি টাউন মন্ডলের বর্তমান সভাপতি চাকরি করায় তিনি দলের কাছে ঠিকমতো সময় দিতে পারছেন না। সামনে নির্বাচন থাকার কারণে তিনি যদি এইভাবে দলের কাছে সময় না দেন, তাহলে দলের সাংগঠনিক দুর্যোগ আসতে পারে। আর তাই সেখানে নতুন মুখ খুঁজছে গেরুয়া শিবির। সেদিক থেকে কিছুটা সময় নিয়ে এখানে সভাপতি করতে চাইছে বিজেপি। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি দক্ষিণের বিজেপির মন্ডল সভাপতির দুই বারের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। তাই সেখানে সভাপতি হওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই একাধিক নাম জমা পড়েছে জেলা নেতৃত্বের কাছে। তাই তড়িঘড়ি একজনকে সভাপতি করে দিলে সেখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে পারে বলে আঁচ করে, এদিন সেখানেও সভাপতির নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি বলে মত একাংশের। একইভাবে ধুপগুড়ির নতুন মন্ডল ধুপগুড়ি উত্তর-পশ্চিমে গোষ্ঠী কোন্দলের জন্য বিজেপি তাদের নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করতে পারেনি বলে খবর। আর যার ফলে 30 টি মন্ডল থাকলেও এদিন 27 টি মন্ডল সভাপতির নাম ঘোষনা করেই রিতীমত গোটা পর্ব সমাপ্ত করে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু যেখানে বিধানসভাকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তারা, সেখানে একদিকে গোষ্ঠীকোন্দল অন্যদিকে দলে বৃদ্ধতন্ত্রকে জায়গা দেওয়ায় সেই বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণী কি পার হওয়া সম্ভব হবে! সেই নিয়ে প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -