মহারাষ্ট্রে বড়সড় ধাক্কার পরে কি ঝাড়খন্ডেও ব্যাকফুটে চলে গেল বিজেপি? ক্রমশ তীব্র হচ্ছে জল্পনা জাতীয় November 27, 2019 আশা ছিল। অনেক ক্ষেত্রে সেই আশার একদম চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছেও গিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা ধরে রাখা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। মহারাষ্ট্রে শেষ পর্যন্ত ইস্তফা দিতে হয়েছে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে। বর্তমানে সেখানে সরকার গড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিপি, শিবসেনা এবং কংগ্রেস জোট। আর ঝাড়খন্ডের বিধানসভা নির্বাচন শুরুর আগে মহারাষ্ট্রে যেভাবে বিজেপি ব্যাকফুটে চলে গেল, তাতে ঝাড়খন্ডে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর যা এখন প্রবল চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বদের কাছে। অনেকে বলছেন, মহারাষ্ট্রে বিজেপি পর্যুদস্ত হওয়ার পর যদি ঝাড়খন্ডেও তারা ভালো ফল করতে না পারে, তাহলে হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। আর লোকসভায় হাওয়া বা মোদি ম্যাজিক যে কারণেই হোক না কেন, বিজেপি ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও যেভাবে বর্তমানে একের পর এক রাজ্যে তাদের মুখ পুড়ছে, তাতে কিভাবে তারা এগিয়ে যাবে! তা নিয়ে দেখা দিতে শুরু করেছে সংশয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বস্তুত, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে বিজেপির কাছে এই ফলাফল সত্যিই অপ্রত্যাশিত ছিল। লোকসভার মোদি হাওয়ার পর হরিয়ানায় কোনোমতে 11 মাসের পুরনো একটি দলের সঙ্গে জোট করে সরকার বাঁচাতে হয়েছে বিজেপিকে। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও মহারাষ্ট্রে তা না হওয়ায় এখন ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে চরম চাপের মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে করছে একাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত 2014 সালে নরেন্দ্র মোদির জনসমর্থন আরও বেশি ছিল। কিন্তু তা সত্বেও তখন ঝাড়খন্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারিনি ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এবার একের পর এক রাজ্যে যখন বিজেপি পর্যুদস্ত, ঠিক তখন ঝাড়খন্ডে তাদের পক্ষে ফলাফল ভালো করা কোনোমতেই সম্ভব হবে না। আর ঝাড়খন্ড এবারে যদি ভারতীয় জনতা পার্টি দখল করতে না পারে, তাহলে উত্তরপ্রদেশ, বিহার ছাড়া হিন্দিভাষী ভারতের বৃহৎ রাজ্যের মধ্যে আর কোনো রাজ্যই বিজেপির দখলে থাকছে না বলে দাবি বিশ্লেষকদের। ফলে ঝাড়খণ্ডে যদি বিজেপি পর্যদুস্ত হয়, তাহলে আগামী 2020 সালে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনেও তাদের জন্য বড়সড় বিপদ ধেয়ে আসছে। তাই এখন ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদির কোন স্ট্র্যাটেজি নেন, এবং সেই স্ট্রাটিজি আদৌ কাজ করে কিনা! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -