বিজেপি সাংসদের মাথা গোঁজার ঠাঁই বানাতে চাঁদা তুলে ঘর বানিয়ে দিচ্ছেন অনুগামীরা জাতীয় January 31, 2019 মানুষের ভোটে জিতে নেতারা ক্ষমতায় এলেই ফুলে-ফেঁপে ওঠেন তাঁরা – প্রায়শই সেই দেশের ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ শোনা যায় সাধারণ মানুষদের পক্ষ থেকে। কিন্তু এবার মধ্যপ্রদেশের নবনির্বাচিত সাংসদ সীতারাম আদিবাসীর আর্থিক অবস্থা ও মাথা গোঁজার সামান্য কুড়েঘর দেখে সাধারণ মানুষেরাই তাঁর ঘর তৈরি করে দেওয়ার জন্য এগিয়ে এলেন। যে ঘটনায় হতবাক প্রায় সকলেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2008 ও 2013 সালে নির্বাচনী দাঁড়িয়েও পরাজিত হয়ে গত 2018 সালে মধ্যপ্রদেশের বিজয়পুর কেন্দ্র থেকে দাড়িয়ে জয়লাভ করেন এই সীতারাম আদিবাসী। কিন্তু নির্বাচনে জিতে জনপ্রতিনিধি হলেও তাঁর সহজ সরল জীবনযাপন নজর কেড়েছিল অনেকেরই। যেখানে প্রায়শই বিরোধী দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে দেশে শাসকবর্গেরা দুর্নীতি করছে, সেখানে মধ্যপ্রদেশের এই বছর পঞ্চান্নর সীতারাম আদিবাসীর সম্বল বলতে এখন গ্রামের প্রান্তে মাথা গোঁজার সামান্য কুঁড়েঘর। জানা যায়, এখানেই স্ত্রী ইমতিবাঈকে নিয়ে সংসার করেন তিনি। [content_block id=3910 কিন্তু তাদের গ্রামের নেতা এমনভাবে সাধারণের মতো থাকবেন তা মেনে নিতে পারেননি গ্রামবাসীরা। তাই এবার তাঁরাই উদ্যোগী হয়ে সেই সীতারাম আদিবাসীর জন্য বসবাসের উপযুক্ত একটি দুই কামরার ঘরের বন্দোবস্ত করতে চলেছেন। যদিও বা সীতারাম বাবু প্রথম থেকেই এমনটাই বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী। তবে এবার গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে মাথা গোজার মত সামান্য সমস্যার সমাধান হতে চলায় খুশি তিনি। তবে সাংসদ সীতারাম আদিবাসী অবশ্য এদিন বলেন, ₹সাংসদ হিসেবে নিজের প্রথম বেতন পেলেই আমি সেই টাকায় জনগণের জন্য কিছু কাজ করতে চাই।” একাংশের মতে, যখন দেশজুড়ে নেতাদের খাই খাই রবে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজনীতি, ঠিক তখনই মধ্যপ্রদেশে নিজের মাথায় কোনোক্রমে একটি ঘর থাকা এই নেতার জন্য যেভাবে সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসল তাতে এখনও যে রাজনীতিতে ভালো মানুষ রয়েছে তা ফের আরো একবার প্রমান হল। আপনার মতামত জানান -