এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > জেনে নিন গৃহস্থালির টুকিটাকি কিছু টিপস যা আপনার রোজকার জীবনে লাগবে

জেনে নিন গৃহস্থালির টুকিটাকি কিছু টিপস যা আপনার রোজকার জীবনে লাগবে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জেনে নিন গৃহস্থালির টুকিটাকি কিছু টিপস যা আপনার রোজকার জীবনে লাগবে —

১). অ্যালুমিনিয়াম কড়া – অ্যালুমিনিয়াম কড়ার হলদেটে দাগ তুলতে এক চা চামচ নুন, এক চা চামচ খাবার সোডা ও একটি অর্ধেক পাতিলেবু নিতে হবে। এরপর পাতিলেবুর রসটা চিপে নিয়ে নুন ও খাবার সোডা সমেত ভালো করে কড়া ঘষলেই ময়লা দাগ উঠে যাবে। কড়া বেশি ময়লা হলে কিছুক্ষন লেবুর রস, নুন র সোডার মিশ্রণটি মাখিয়ে রাখলে ময়লা দাগ উঠে যাবে।

২). টিকটিকির হাত থেকে রেহাই- টিকিটিকি আমাদের প্রত্যেকের ঘরেই মোটামুটি ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু রান্নাঘরে টিকটিকি থাকলে তা বিপজ্জনক। কারণ টিকটিকির লালা বা মলমূত্র খাদ্যদ্রব্যে গেলে ত বিষক্রিয়া হয়। এর হাত থেকে রেহাই পেতে হলে প্রথমে একটি ডিম নিয়ে অল্প একটু ছিদ্র করে ডিমের ভিতরের অংশ সাবধানে বেরকরে নিতে হবে। এরপর ফাঁকা ডিমের খোলাটির অপর অংশ খুব সাবধানে ছোট ছিদ্র করে নিতে হবে। এরপর একটি কাঠি গেঁথে ডিমের খোলাটি যেখানে রেখে দেওয়া হবে সেখানে টিকটিকির আনাগোনা বন্ধ হবে।

৩). হ্যান্ড ওয়াশ- বর্তমানে একটি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ কার্যকরী দ্রব্য হলো হ্যান্ড ওয়াশ। কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই আমরা অতিরিক্ত হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার করে তার অপচয় করি। বিশেষ করে যেগুলি কন্টেনার জাতীয় সেইগুলির অপচয় বেশিই হয়। আর এই কন্টেনার – এর থেকে হ্যান্ড ওয়াশের অপচয় রুখতে প্রথমে একটি রাবার ব্যান্ড নিতে হবে। এরপর কন্টেনার – এর পাইপের যে অংশটি বাইরে থাকে সেখানে রাবার ব্যান্ড বেঁধে দিলে তুলনামূলভাবে কম হ্যান্ড ওয়াশ বের হবে।

৪). ফেলে দেওয়া খবরের কাগজ ব্যবহার- আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অঙ্গ হলো খবরের কাগজ। রান্নার আনাজ কাটার সময় বাড়িতে জমে থাকা খবরের কাগজ পেতে নিলে রান্না ঘর নোংরা হওয়ার হাত থেকে বাঁচবে। এরপর আনাজের খোলা সমেত খবরের কাগজটা ডাস্টবিনে ফেলে দিলে রান্না ঘরে আনাজ- এর খোলা ছড়াবে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

৫). আলুর রং পরিবর্তন- অনেকক্ষেত্রেই রান্নার সুবিধার্থে আনাজ আগে থেকে কেটে রেখে দেওয়া হয়। ফলে অনেকসময় দেখা যায় বেশিক্ষণ কেটে গেলে আনাজ – এর রং পরিবর্তিত হয়ে গেছে। বিশেষ করে আলুর ক্ষেত্রে এটি ভীষণভাবে লক্ষণীয়। তো এই সমস্যা এড়াতে আলুটিকে কেটে নিয়ে দু – তিন বার জলে ধুয়ে নিয়ে জলে চুবিয়ে রাখলে রং পরিবর্তিত হবে না। সাথে যদি একটু পাতি লেবুর রস মিশিয়ে দেওয়া যায় তবে রং পরিবর্তন কোনোমতেই হবে না।

৬). সজিব ধনেপাতা – বাজার থেকে ধনেপাতা আনার পর দু – তিন দিন সতেজ রাখতে একটি কাচের গ্লাস নিয়ে তাতে অর্ধেক জল ভরতে হবে।এরপর ধনেপাতার আটি সমেত গ্লাসের ভেতর চুবিয়ে রাখলে ধনেপাতা সজিব থাকবে। তবে প্রতিদিন গ্লাসের জল বদল করতে হবে। তাহলেই একদম সতেজ থাকবে ধনেপাতা।

৭). ডিম সেদ্ধ – অনেকসময়ই সেদ্ধ ডিমের খোলা ছাড়াতে কালঘাম ছুটে যায়। অনায়াসেই সেদ্ধ ডিমের খোলা ছাড়াতে গেলে ডিম সেদ্ধ করার সময় সেই পাত্রে একটি পাতি লেবুকে অর্ধেক করে দিয়ে দিতে হবে। এরসাথে খানিকটা নুন ওই পাত্রে দিয়ে ডিমটি সেদ্ধ হতে দিতে হবে। এরপর ডিম সেদ্ধ হলে ঠান্ডা জলে খানিকক্ষণ ডিমগুলো রাখলেই নিমেষে ছাড়ানো যাবে ডিমের খোসা।

৮). চপিং বোর্ড – অনেকেই আনাজ কাটার জন্য চপিং বোর্ড ব্যবহার করে থাকে। সেক্ষেত্রে দেখা যায় চপিং বোর্ড টিতে নানা রকমের আনাজ  – এর দাগ তৈরি হয়েছে। এই দাগ তুলতে অর্ধেক পাতিলেবু নিয়ে বোর্ডে একটু খাবার সোডা মিশিয়ে ভালো করে ১- ২ মিনিট ঘষতে হবে।

৯). কিচেন টাওয়েল- রান্নাঘরে ব্যবহৃত টাওয়েল গুলো খুব সহজেই রান্নার দাগ লেগে নোংরা হয়ে যায়। এই দাগ তুলতে প্রথমে একটি পাত্রে জল নিয়ে জলটি ফোটাতে হবে। এরপর ফুটন্ত জলে টাওয়েল দিয়ে জল খানিকক্ষণ ফুটতে দিতে হবে। এরপর এর মধ্যে একটু ভিনিগার ও একটু হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে আরো কিছুক্ষন জল ফোটাতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নিলেই টাওয়েল পরিষ্কার হয়ে যাবে।

১০).  লুচি – লুচি বা রুটি ফুলকো বানানোর জন্য আটা বা ময়দাকে বেশ ভালো করে মাখতে হয়। কিন্তু ব্যস্ততার জীবনে অনেকসময়ই তা হোয়ে ওঠে না। কিন্তু এই ব্যস্ততার মধ্যেও ফুলকো লুচি বানাতে হলে কেটে রাখা লেচিকে বেলার আগে একটু হালকা গরম তেলে সামান্য চুবিয়ে নিয়ে বেলতে হবে। এরপর সেটি ভাজলেই তৈরি হয়ে যাবে ফুলকো লুচি।

১১). বাচ্চাদের খাবার – বাচ্চাদের জন্য শুধু ভেজিটেবল – এর কোনো খাবার বানাতে হলে সেগুলোর রং যথাযথ থাকা প্রয়োজন। এতে বাচ্চারা খেতেও আগ্রহ পায় এবং খাবারটি স্বাস্থ্যকর হয়। এর জন্য একটি পাত্রে গরম জল নিয়ে তাতে ভেজিটেবল গুলো দিয়ে দিতে হবে। এরপর এর মধ্যে আধ চা চামচ তেল ও এক চামচ চিনি দিয়ে দিতে হবে। এতে খাবারের রং থাকবে যথাযথ।

১২). টেস্টি সয়াবরি – অনেকসময়ই দেখা যায় সোয়াবরি রান্না করলে খুব একটা সুস্বাদু হয় না। সয়াবোরি সুস্বাদু বানাতে প্রথমে সোয়াবোরি গুলোকে জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর জল থেকে ভাল করে নিংড়ে নিয়ে গরম তেলে ভেজে নিতে হবে নুন,হলুদ ও সামান্য গরম মশলা দিয়ে। এরপর এই সয়াবড়ি দিয়ে যেকোনো রেসিপি বানালে তা অসম্ভব সুস্বাদু হবে।

১৩). পোকার থেকে মুক্তি – আটা, ময়দা, ব্যাসন, চাল ইত্যাদি বেশি দিন রেখে দিলেই পোকা ধরে যায়। এর হাত থেকে মুক্তি পেতে আটা, ময়দা এসবের মধ্যে একটু করে লবঙ্গ ও কয়েকটি শুকনো লঙ্কা রেখে দিতে হবে। এটি করলে কোনোভাবেই পোকা ধরবে না।

১৪). পাতি লেবু – বাজার থেকে পাতি লেবু আনার পর সেগুলো একটি করে নিয়ে কাগজে মুরে ফ্রিজে রেখে দিলে লেবুগুলো দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।

১৫). চাল – বাজারে বিক্রিত চাল গুলোতে অনেক সময়ই কীটনাশক পাউডার মেশানো থাকে। এর হাত থেকে বাঁচতে ভাত রান্না এক থেকে দেড় ঘণ্টা আগে চাল জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ভাত রান্না করার আগে ওই ভিজিয়ে রাখা চাল ভালো জলে ধুয়ে নিলে কীটনাশকের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

১৬). ছোলা – ছোলা ভেজানোর জন্য সাত থেকে আট ঘণ্টা আগে জলে ছোলা দিতে হয়। এক ঘণ্টায় ছোলা পরিপুষ্ট করতে ফুটন্ত গরম জলে ছোলা একঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।

১৭). রসুনের খোসা – একটি ফ্রাইং প্যানে খোলা রসুন নিয়ে একটু গরম করে নিলেই নিমেষেই ছাড়ানো যাবে রসুনের খোসা।

১৮). পেয়াজ – পেঁয়াজ কাটার সময় ঝাঁঝে চোখ নাক জ্বালা করে। এর হাত থেকে রেহাই পেতে হলে পেয়াজের গোড়া কেটে নিয়ে পেয়াজটি ৫-৭ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখুন। আর পেঁয়াজ কাটার সময় ঝাঁজ লাগবে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!