এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান সহ “নিখোঁজ” সদস্যরা “ফিরে এসেই” তৃণমূলী হয়ে গেলেন!

বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান সহ “নিখোঁজ” সদস্যরা “ফিরে এসেই” তৃণমূলী হয়ে গেলেন!

 

লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপির দাপট প্রত্যক্ষ করা গিয়েছিল। গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে অনেক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা, কর্মীরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করে। তবে সম্প্রতি এই পরিস্থিতির ফের পরিবর্তন হয়। যে সমস্ত নেতাকর্মী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তারা আবার তৃণমূলে ফিরে আসতে শুরু করেন। আর এবার বিজেপির দখলে থাকা পুরাতন মালদা ব্লকের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ একাধিক সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়ে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন।

বস্তুত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল যে এই ভাবুক পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান সহ একাধিক সদস্য এবং কংগ্রেসের কিছু সদস্য তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন। তবে শেষ পর্যন্ত তারা যোগদান না করা অব্দি তা নিয়ে জল্পনা অব্যাহত ছিল। আর অবশেষে সেই সমস্ত জল্পনাকে সত্যি করে বুধবার নিখোঁজ হয়ে-যাওয়া পুরাতন মালদা ব্লকের পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান লক্ষীরাম হাসদা সহ বিজেপি এবং কংগ্রেসের মোট চারজন সদস্য তৃণমূলে যোগ দিলেন।

যার ফলে এই পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে চলে এল বলে দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। আর নিজেদের দখলে থাকা পঞ্চায়েতের প্রধান এইভাবে তৃণমূলের নাম লেখানোয় এখন প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু কেন প্রধান বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন!

এদিন এই প্রসঙ্গে ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লক্ষীরাম হাঁসদা বলেন, “প্রধান হওয়ার পর থেকেই কাঠের পুতুল হিসেবে ছিলাম। স্বাধীনভাবে কাজ করার কোনো অধিকার ছিল না। স্থানীয় জেলা নেতা প্রধানের চেয়ারের পাশে অন্য একটা চেয়ারে বসিয়ে দিয়েছিলেন। কার্যত সেই চেয়ার থেকেই পঞ্চায়েতের কাজকর্ম পরিচালিত হত। আমার কাজ ছিল শুধু স্বাক্ষর করা। পরবর্তী সময়ে অনেক সদস্য আমাকে এলাকার উন্নয়নে মন দিতে বলেন। কিন্তু দলীয় বাধ্যবাধকতায় কোনো কাজ করতে পারছিলাম না। বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। আশা করি এবার তৃণমূলে যোগ দিয়ে উন্নয়নের কাজ করতে পারব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইভাবে এই ব্যাপারে বিজেপির বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে আত্মপ্রত্যয়ী সুর শোনা গেছে জেলা তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের গলায়। এদিন তিনি বলেন, “ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ বিজেপি এবং কংগ্রেসের সদস্যরা এদিন দলবদল করেছেন। আপাতত আমাদের 8 জন সদস্য রয়েছে। আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। বৃহস্পতিবার থেকে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড তাদের কাজকর্ম শুরু করবে। আশা করছি, এলাকার উন্নয়নে আর কোনো বাধা থাকবে না।”

তবে তাদের পঞ্চায়েত এবার তৃণমূলের দখলে চলে যাওয়ায় কি বিজেপি ব্যাকফুটে পড়ে গেল না! এদিন এই প্রসঙ্গে এই দল বদলের গোটা ঘটনাকে নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন মালদহ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি গোপাল সাহা। এদিন তিনি বলেন, “ভোটে বিজেপি জিতে বোর্ড করেছে। তাই তৃণমূল মেনে নিতে পারছে না। তাই তারা ভয় দেখিয়ে, প্রলোভন দেখিয়ে পঞ্চায়েত দখল করছে। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি।”

কিন্তু বিজেপি নেতা যে কথাই বলুন না কেন, কেন বিজেপি তাহলে তাদের পঞ্চায়েত প্রধান সহ অন্যান্য সদস্যদের আটকাতে পারল না! তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। সব মিলিয়ে ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রধান এবং কংগ্রেসের সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় এখানে তৃণমূল অনেকটাই অক্সিজেন পেল বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!