এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশে বহিরাগত পিকে করবেন ডাহা ফেল? ভরাডুবি হবে তৃণমূলের? জল্পনা বাড়ালেন হেভিওয়েট নেতা!

একুশে বহিরাগত পিকে করবেন ডাহা ফেল? ভরাডুবি হবে তৃণমূলের? জল্পনা বাড়ালেন হেভিওয়েট নেতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর বিজেপি বাংলায় একাধিক আসন দখল করলে অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পরিস্থিতি সামাল দিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৃণমূলের রননীতিকার করা হয় প্রশান্ত কিশোরকে। আর তৃণমূলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিজেপিকে চাপে রেখে একের পর এক রাজনৈতিক কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করে সেই প্রশান্ত কিশোরের টিম।

“দিদিকে বলো” থেকে শুরু করে “বাংলার গর্ব মমতা” কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ময়দানে নামিয়ে দেন তিনি। আর রাজ্যের শাসক দলকে প্রশান্ত কিশোর আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই চাঙ্গা করার চেষ্টা করলে তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হওয়ার পরেই শাসক থেকে বিরোধী প্রত্যেকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ধীরে ধীরে ময়দানে নামতে শুরু করেছে।

এমতাবস্থায় এবার বিজেপিকে পাল্টা কুপোকাত করতে “যুব যোদ্ধা” তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যা প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর এবার তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। যেখানে প্রশান্ত কিশোরকে কার্যত গুরুত্ব না দিয়ে তার এই কর্মসূচিকে ডাহা ফেল বলে দাবি করলেন তিনি।

এদিন এই প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “দিদিকে বলো এবং বাংলার গর্ব মমতার মত যুবশক্তিও একটি ফ্লপ শো হতে চলেছে। একটা জিনিস স্পষ্ট যে, তৃণমূল এখন বাংলায় বিজেপির ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখে ভয় পেয়েছে এবং এই কারনেই তারা করোনা এবং সাইক্লোন সংকটের সময় বিজেপিকে জনগণের পাশে দাঁড়াতে বাধা দিচ্ছে না। জনগণ তৃণমূলের ওপর বিরক্ত। তাই আমরা বাংলায় পরবর্তী সরকার গঠনে আত্মবিশ্বাসী। কোনো শক্তি আমাদের হারাতে পারবে না। বাংলায় আবার পরিবর্তন হবে। সেই পরিবর্তন হবে প্রকৃত পরিবর্তন। তৃনমূল যে পরিবর্তন এনেছিল, তা ছিল মিথ্যা। সেখানে বদলের থেকে বদলাই প্রাধান্য পেয়েছিল।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রশান্ত কিশোরকে তৃণমূল নিজেদের রাজনৈতিক রননীতিকার করার পর তৃণমূলের অনেকটাই পরিবর্তন হবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু করোনা থেকে ভয়াবহ দূর্যোগ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষকে ত্রান দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যা কিছুটা হলেও রাজ্যের শাসক দলকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে।

আর এবার আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে যুবশক্তি নামক নতুন প্রকল্প চালু করছে তৃণমূল, তখন তাকে কার্যত ডাহা ফেল বলে দাবি করে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির জয়প্রকাশ মজুমদার।

অর্থাৎ জয়প্রকাশবাবু প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন, তৃণমূল যতই প্রশান্ত কিশোরের মত ব্যক্তিত্বকে এনে ভোটব্যাঙ্ক শক্তিশালী করার চেষ্টা করুক না কেন, তাদের এই চেষ্টা কোনমতেই সফল হবে না। বিজেপি 2021 সালে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে। তবে জয়প্রকাশবাবু একথা বললেও, শেষ পর্যন্ত ভোটবাক্সে মানুষ কার দিকে বেশি সমর্থন দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!