বিজেপিতে ভাঙ্গন ধরিয়ে পুরুলিয়াতে পঞ্চায়েতে হারের জ্বালা বোর্ডগঠনে মিটিয়ে নিল তৃণমূল পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য September 6, 2018 রাজ্যের পঞ্চায়েতে প্রায় সব জেলাতেই নিজেদের দাপট অব্যাহত রাখলেও ব্যাতিক্রম ছিল জঙ্গলমহলের জেলাগুলি। এখানে বেশ কয়েকটি আসনে বিরোধীদের উত্থান প্রবল চিন্তায় ফেলেছে শাসক শিবিরকে। কিন্তু বেশিদিন আর সেই চিন্তার ভাঁজ থাকল না শাসকের কপালে। ভোটে বিরোধীরা জিতলেও বোর্ড গঠনে সেই বিরোধীদের হঠিয়ে এবার নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখল শাসকদল। সূত্রের খবর, এবারে পুরুলিয়ার 24 আসনবিশিষ্ট ঝালদা 2 পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃনমূল 5 টি, বামফ্রন্ট 5 টি, কংগ্রেস 11 টি এবং বিজেপি 3 টি আসন পায়। পরে এক কংগ্রেস সদস্য তৃনমূলে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি এদিন বোর্ড গঠনের সময় সভাপতি পদে তৃনমূলের প্রার্থীকে সমর্থন করেন বিজেপির এক এবং বামেদের পাঁচ সদস্য। অপরদিকে কংগ্রেসের সভাপতি পদের প্রার্থীকে সমর্থন করেন বিজেপির দুই সদস্য। আর এরপরেই লটারির ভিত্তিতে সভাপতি পদে তৃনমূলের এবং সহ সভাপতি পদে কংগ্রেসের প্রার্থী নির্বাচিত হয়। বিজেপি এবং বামেরা সমর্থন করলেও বিজেপির যে সদস্য সমর্থ করেছেন তিনি পরে তৃনমূলে যোগ দেবেন বলে এদিন মন্তব্য করেন জেলা তৃনমূলের সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো। অপরদিকে বরাবাজারে সভাপতি নির্বাচনকে ঘিরে তৃনমূল এবং বিজেপির মধ্যেকার বিবাদে উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে শান্ত করতে এখানে বোর্ড গঠনই স্থগিত করে দেয় জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে শাসকদল। অন্যদিকে এদিন বিরোধীদের দখলে থাকা রঘুনাথপুর 1 পঞ্চায়েত সমিতিতেও বোর্ড গঠন করে শাসকদল। সূত্রের খবর, 21 আসনবিশিষ্ট এই পঞ্চায়েত সমিতিতে এবার বিজেপি 17, তৃনমূল 3 এবং নির্দল 1 টি আসন পায়। বিজেপির পাঁচ এবং নির্দলের 1 জন আগেই তৃনমূলে যোগদান করলে বুধবার ফের বিজেপির এক সদস্য তৃনমূলে যোগ দেন। এক্ষেত্রে বিজেপির 11 এবং তৃনমূলের 10 হলেও বোর্ড গঠনের দিন বিজেপির কোনো সদস্য না থাকায় তৃনমূল এই পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এ প্রসঙ্গে এদিন রঘুনাথপুরের তৃনমূল বিধায়ক পূর্নচন্দ্র বাউরি বলেন, “বিজেপির কোনো প্রার্থী উপস্থিত না থাকায় এখানে তৃনমূল বোর্ড গঠন করেছে।” তবে এই বোর্ড গঠনে শাসকদলের বিরুদ্ধে বোমাবাজি আর সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন জেলা বিজেপির সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। পাল্টা মুখ খুলেছে তৃনমূলও। বিজেপি বোর্ড গঠন করলেই শান্তি আর তৃনমূল হলেই বোমাবাজি? কুৎসা রটাচ্ছে বিজেপি বলে গেরুয়া শেবিরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তৃনমূল বিধায়ক পূর্নচন্দ্র বাউরি। সব মিলিয়ে হেরে গিয়েও পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন করল তৃনমূল কংগ্রেস। আপনার মতামত জানান -