এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একে মুকুলে রক্ষা নেই, তাতে শঙ্কু দোসর – হাড়ে হাড়ে টের পেল নির্বাচন কমিশন

একে মুকুলে রক্ষা নেই, তাতে শঙ্কু দোসর – হাড়ে হাড়ে টের পেল নির্বাচন কমিশন


বাংলায় লোকসভা যুদ্ধে গেরুয়া ঝড় তোলার জন্য বিজেপির সব থেকে বড় বাজির নাম – মুকুল রায়, একথা আগেই প্রমাণিত। কেননা লোকসভা যুদ্ধের জল গড়ানোর বহু আগে থেকেই তাঁকে বাংলার নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে রেখেছিলেন খোদ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। আর দায়িত্ব পেয়েই অন্যদল, বিশেষ করে তৃণমূল ভাঙিয়ে গেরুয়া শিবিরকে শক্তিশালী করা থেকে শুরু করে পদে পদে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে রাজনৈতিক পদ্ধতিতে চাপ সৃষ্টি করে – কি করে দাবি আদায় করে নিতে হয়, প্রতি মুহূর্তে বুঝিয়ে ছাড়ছেন তিনি।

কিন্তু সেই একা মুকুলেই যেখানে রক্ষা ছিল না, বঙ্গ রাজনীতির ‘চাণক্য’ এবার দোসর হিসাবে পাশে পেয়েছেন তাঁর প্রিয় শিষ্য তথা তরুণ তুর্কি শঙ্কুদেব পণ্ডাকে। আর এই রাজনৈতিক গুরু-শিষ্য জুটি যে কিভাবে তুর্কি নাচন নাচাতে পারে – তা গতকাল হাড়ে হাড়ে টের পেল নির্বাচন কমিশন। বাংলায় প্রথম দফায় মাত্র দুই আসন – কুচবিহার ও আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছে, আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই আগামী দফাগুলিতে নির্বাচন কমিশনের উপর তীব্র চাপ সৃষ্টি করতে গতকাল মুকুল-শঙ্কুর নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের সামনে নজিরবিহীন বিক্ষোভ দেখাল গেরুয়া শিবির। আর সেই বিক্ষোভের তীব্রতায় ও গেরুয়া শিবিরের তোলা অভিযোগে কেঁপে গেছে বঙ্গ-রাজনীতি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কোনো আড়াল-আবডাল না রেখেই গেরুয়া শিবিরের মূল অভিযোগ প্রধানত তিনটি। প্রথমত, যেসব বুথে রাজ্য পুলিশ পাহারায় রয়েছেন সেখানে ভোট লুঠ করছে তৃণমূল কংগ্রেস – আলিপুরদুয়ার ও কুচবিহার দু-জায়গাতেই দেখা গেছে তার ভুরি ভুরি প্রমান। আর তাই কোনো রাজ্য পুলিশ নয় – ১০০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচন কমিশনের মধ্যে এমন দুজন আধিকারিক আছেন, যাঁরা আদতে ‘তৃণমূল ক্যাডারের’ মত কাজ করছেন। অবিলম্বে তাঁদের অপসারিত করতে হবে – নাহলে বাংলায় সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। আর সবথেকে মারাত্মক তৃতীয় অভিযোগ – যেখানে গেরুয়া শিবির দাবি করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিইও আরিজ আফতাব এই নির্বাচনে নাকি সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে সাহায্য করছেন – অবিলম্বে তাঁকে অপসারিত করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে শঙ্কুদেব পন্ডার নেতৃত্বে গেরুয়া শিবিরের তুমুল বিক্ষোভ।

গতকাল নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘিরে ধরে প্রথমে শঙ্কুদেব পণ্ডার নেতৃত্বে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় গেরুয়া শিবির। তারপর বিজেপির এক প্রতিনিধিদল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের চেম্বারে অতিরিক্ত সিইও শৈবাল বর্মনের সঙ্গে দেখা করতে যায়। যে দলে ছিলেন – মুকুল রায়, শঙ্কুদেব পণ্ডা, শিশির বাজোরিয়া, জয়প্রকাশ মজুমদার সহ একাধিক নেতা। প্রথমে বিজেপি নেতারা চেয়ারে বসে আলোচনা শুরু করলেও – আলোচনা সদর্থক দিকে না যাওয়ায়, চেয়ার সরিয়ে মাটিতে বসে পরে সেখানেই প্রতিবাদ জানান। শুধু তাই নয়, সমস্ত ঘটনার ভিডিও করে তা বাইরে ছেড়ে দেওয়া হয় – আর এই নজিরবিহীন বিক্ষোভের আঁচ পৌঁছে গেছে দিল্লি পর্যন্ত। সেখান থেকে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন ভিডিও ক্লিপিংস সহ বিস্তারিত রিপোর্ট সিইওর কাছে চেয়ে পাঠিয়েছেন – সব মিলিয়ে মুকুল-শঙ্কুর নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনকে বড়সড় চাপে ফেলে দিল গেরুয়া শিবির। একনজরে দেখে নিন নির্বাচন কমিশনের অফিসের ভেতরে বিজেপির সেই বিক্ষোভ কর্মসূচির ভিডিও –

https://www.youtube.com/watch?v=K5VYisPtxYU

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!