এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > চা-ওলাকে প্রধানমন্ত্রী করার পর এবার কাগজ কুড়ানিকে গুরুত্বপূর্ণ শহরের মেয়র করে চমকে দিল বিজেপি

চা-ওলাকে প্রধানমন্ত্রী করার পর এবার কাগজ কুড়ানিকে গুরুত্বপূর্ণ শহরের মেয়র করে চমকে দিল বিজেপি


লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দলগুলি বিজেপিকে পরাভূত করতে হাতে হাত মেলাচ্ছে, দীর্ঘদিনের বৈরিতা ভুলে এক ছাতার তলায় আসছে – একে অপরের বিরুদ্ধে লড়তে থাকা দলগুলি। বিরোধীদের অভিযোগ বিজেপির নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটি দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। এমনকি, আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল এক ধাপ এগিয়ে দাবি করেছেন – ২০১৯-এ বিজেপি জিতে ক্ষমতায় এলে নাকি ভারতের সংবিধান বদলে দেশ থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়াটাই তুলে দেবেন – যাতে আজীবন বিজেপিই ক্ষমতায় থেকে যেতে পারে!

আর এর পাল্টা হিসাবে বিজেপির দাবি – বিরোধী দলগুলো জোট বাঁধছে আসলে পরিবারতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা দিতে, দেশের ভালোর জন্য নয়! আর, একেবারে উদাহরণ তুলে ধরে বিজেপির বক্তব্য – কংগ্রেসে সোনিয়া গান্ধী রাহুল গান্ধীর জন্য, তৃণমূল কংগ্রেসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক ব্যানার্জির জন্য, সমাজবাদী পার্টিতে মুলায়ম সিং যাদব অখিলেশ যাদবের জন্য, জেডিএসে দেবেগৌড়া কুমারস্বামীর জন্য, আরজেডিতে লালু প্রসাদ যাদব তেজস্বী বা মিশা যাদবের জন্য এই জোট করছেন। অন্যদিকে, বিজেপিই নাকি একমাত্র দল – যারা দেশের কথা ভাবে আর তাই তাদের কর্যকর্তা বংশ পরিচয়ে নয় – নিজের কর্মদক্ষতায় বাছাই হয়।

আর এতদিন নিজেদের দাবির স্বপক্ষে বিজেপির সবথেকে বড় দাবি ছিল, সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা বা একদা ‘চা বিক্রি’ করা নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়া। আর এবার বোধহয় এর পাশাপাশিই আরও বড় উদাহরণ প্রতিষ্ঠা করে ফেলল ভারতীয় জনতা পার্টি – কেননা এবার চণ্ডীগড়ের মত গুরুত্বপূর্ণ শহরের মেয়র নির্বাচিত হলেন ৪৬ বছরের রাজেশ কালিয়া, যাঁকে একদিন নিজের পরিবারকে সাহায্য করার জন্য রাস্তায় রাস্তায় কাগজ কুড়োতে হয়েছে। শুধু তাই নয় – তাঁর বাবা ছিলেন একজন ঝাড়ুদার, বর্তমানে তাঁর ভাইও ঝাড়ুদারের কাজই করেন – আর এহেন এক ব্যক্তিকে মেয়র পদে বসিয়ে গোটা দেশকেই চমকে দিল বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মেয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজেশ কালিয়া জানান, আদতে তাঁর পরিবার হরিয়ানার সোনিপতের বাসিন্দা ও জাতিতে বাল্মিকী সম্প্রদায়ের। ১৯৭৭ সালে তাঁদের পরিবার জীবিকার সন্ধানে চণ্ডীগড়ে চলে এলে, পরিবারের অভাব দূর করার জন্য বহুদিন তিনি ও তাঁর ভাই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে কাগজ কুড়িয়েছেন, এমনকি এর জন্য আবর্জনার স্তুপও ঘটতে হয়েছে তাঁদের। রাজনীতিতে দুর্বার আগ্রহ থাকার জন্য ১৯৮৪ সালে আরএসএস ও বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।

বিজেপির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রামমন্দির আন্দোলেন যোগ দিয়ে একবার ১৫ দিন জেলও খাটতে হয়েছে তাঁকে। বিজেপির তপসিলি মোর্চার সভাপতি হিসাবে দীর্ঘদিন ধরেই দায়িত্ব সামলেছেন। এরপর ২০১১ সালে তিনি প্রথম পুরসভার নির্বাচনের টিকিট পান – কিন্তু হেরে যান সেই নির্বাচনে। তবুও, দলের কাজে নিষ্ঠা ও দলীয় আনুগত্যের জন্য ২০১৬ সালে ফের পান বিজেপির টিকিট, আর এবার তাঁর জয়লাভ আটকায়নি। আর তারপরের কথা তো রূপকথা – এবার মেয়র নির্বাচনের জন্য ২৭ টি ভোটের মধ্যে ১৬ টিই তাঁর সমর্থনে পড়ায় – দায়িত্ব পেলেন দেশের এক গুরুত্বপূর্ণ শহর চালানোর। আর এরপরেই তিনি স্বীকার করে নেন – তিনি জীবনে এই জায়গায় যেতে পারবেন তা কখনও ভাবতে পারেননি। বিজেপিই একমাত্র দল যে একজন চা বিক্রেতাকে প্রধানমন্ত্রী করতে পারে। একজন কাগজ কুড়ানিকে মেয়র করতে পারে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!