বিজেপি সংকল্প যাত্রার সব হাওয়া কেড়ে নিতে পাল্টা বড়সড় কর্মসূচি রূপায়ণের পথে শাসকদল উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য October 21, 2019 গান্ধীজীর সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে সারা দেশজুড়ে বিজেপির পক্ষ থেকে যেমন সেই গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, ঠিক তেমনই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে চাপে রাখতে এবং নিজেদের রাজনৈতিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে গান্ধীজীর সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় “গান্ধী সংকল্প যাত্রার” আয়োজন করেছে গেরুয়া শিবির। তবে বিজেপি রাজ্যব্যাপী তাদের এই কর্মসূচি ঘোষণা করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার কথা বললে পাল্টা তার কিছুদিন পরেই তৃণমূল তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করে দেয় যার নাম দেওয়া হয়, শুভ বিজয়া পদযাত্রা। অর্থাৎ, উৎসবের মরসুম থেকে উঠে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানোর জন্য সাধারণ মানুষের কাছে এই পদযাত্রার মধ্যে দিয়ে পৌঁছে যাওয়া হবে। তবে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই পদযাত্রাকে “শুভ বিজয়া যাত্রা” বলা হলেও অনেক জেলায় তা “সম্প্রীতি যাত্রা” হিসেবে পালন করা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি জেলাতে এখন বিজেপির এই গান্ধী সংকল্প যাত্রাকে টেক্কা দিতে তৃণমূলের তরফে শুরু করা হচ্ছে সম্প্রীতি যাত্রা। সূত্রের খবর, আগামী 24 অক্টোবর জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের ডাকে প্রতিটি ব্লকেই সম্প্রীতি যাত্রার অঙ্গ হিসেবে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, লোকসভা নির্বাচনের জলপাইগুড়ি জেলায় তৃণমূল জয়লাভ করবে বলে একাংশ মনে করলেও এখানে শেষ পর্যন্ত জয়লাভ করেছেন বিজেপির জয়ন্ত রায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গের প্রায় সাতটা আসন দখল করে বিজেপি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে ধুয়েমুছে সাফ করে দিয়েছে। লোকসভায় বিজেপির উত্তরবঙ্গে তাদের ভোটব্যাংক বাড়ানোর পরই অন্যান্য জেলার মত জলপাইগুড়ি জেলাতেও দলীয় সভাপতিকে পরিবর্তন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌরভ চক্রবর্তীর জায়গায় তিনি দায়িত্ব দেন কিষান কল্যানীকে। কিন্তু দলীয় সভাপতি পরিবর্তন করলেও এখানে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার ধারণ করে। যার ফলে বিজেপির প্রবল উত্থান লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু এবার দলীয় সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন, ঠিক তখনই সেই জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব সম্প্রীতি যাত্রার ডাক দিয়ে বিজেপির গান্ধী সংকল্প যাত্রাকে টেক্কা দিতে চাইছে ঘাসফুল শিবির বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষান কল্যাণী বলেন, “বাংলার মাটি, সম্প্রীতির মাটি। এনআরসির নাম করে যেভাবে ওরা সাধারণ মানুষকে নাগরিকত্ব করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, তা আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হতে দেবেন না। 24 অক্টোবর সম্প্রীতির মিছিল করার জন্য সব বিধায়ক এবং ব্লকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি। বাংলায় যে সাম্প্রদায়িক শক্তির ঠাঁই নেই, তা এই মিছিলের মাধ্যমে প্রমাণ করে দেব। বাংলায় এনআরসি করতে দেব না। এই মিছিলের মাধ্যমে আমরা সেই বার্তাই ঘরে ঘরে পৌঁছে দেব।” এদিকে তৃণমূলের তরফে সম্প্রীতি যাত্রা করা হলে তা নিয়ে পাল্টা তাদের খোচা দিয়েছে বিজেপি। এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, “গণতন্ত্রকে হত্যা করে তৃণমূলই সম্প্রীতি নষ্ট করছে। আমরা দেশজুড়ে গান্ধীজীর অহিংসার বার্তা, স্বচ্ছতার বার্তা দিতে সংকল্প যাত্রায় নেমেছি। মানুষ এই যাত্রাকে আপন করে নিচ্ছে। যেখানে আমাদের রালি হচ্ছে, সেখানেই দলে দলে মানুষ অংশ নিচ্ছে।” তবে বিজেপির “গান্ধী সংকল্প যাত্রাকে” টেক্কা দিতে তৃণমূলের তরফে জলপাইগুড়িতে “সম্প্রীতি যাত্রার” আয়োজন করা হলেও এখন কোন যাত্রা বেশি হিট করে, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -