বাংলায় মমতার পুরোহিত ভাতা কি বুমেরাং হবে? আরএসএসের নতুন দাবিতে তবে জল্পনা রাজ্য- রাজনীতিতে! রাজনীতি রাজ্য September 17, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় সংখ্যালঘুদের ইমামদের ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রহণ করতেই বিশেষজ্ঞ থেকে থাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয় বিরোধীরা দাবি তোলে, সংখ্যালঘুদের প্রতি বেশি দরদী মনোভাব পোষণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে ভোটব্যাংকে সুরক্ষিত রাখতেই তার এই কর্মকাণ্ড। তবে সম্প্রতি নবান্ন থেকে সংখ্যালঘুদের ইমাম ভাতা দেওয়ার পাশাপাশি ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের পুরোহিত ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে আশা করা হয়েছিল, এবার হয়তো তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এতদিন যে সংখ্যালঘু তোষনের অভিযোগ উঠেছিল, তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। কিন্তু না, সেরকম কোনো প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। এদিন এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের আরএসএসের মুখপাত্র জিষ্ণু বসু বলেন, “ব্রাহ্মণরা দান গ্রহণ করেন না। তারা সমাজের যে হিতসাধন করেন তার জন্য দক্ষিণা নেন। সমাজ তাদের সেই দক্ষিণা দেয়, এটা সরকারের কাজ নয়। যদি সাহায্য করার দরকার হয় তাহলে নদিয়া, সন্দেশখালিতে যে হিন্দু তপশিলিরা হার্মাদদের হাতে মার খাচ্ছেন, খুন হচ্ছেন তাদের সাহায্য করুন। এই ভাতা ঘোষণার মাধ্যমে সরকার ফাজলামো করছেন।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ইমাম ভাতা দেওয়ার পরে হিন্দু সংস্কৃতিকে রাজ্য সরকার জলাঞ্জলি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। কিন্তু এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে হিন্দু ভোটব্যাংকে সুরক্ষিত রাখতে রাজ্য সরকার যখন পুরোহিত ভাষার কথা ঘোষণা করল, তখন হিন্দুদের সমর্থন যেমন আরও বেশি পাওয়া যাবে, ঠিক তেমনই বিজেপি বিরোধিতার মুখ বন্ধ করে দেওয়া যাবে বলেও মনে করা হয়েছিল। তবে এই গোটা ঘটনাকে রাজ্য সরকারের দায়ী বলে দাবি করে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে পাল্টা অস্বস্তিতে ফেলে দিল আরএসএস, তাতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ইস্যুকে নিয়ে শোরগোল তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -