এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অফিস টাইমে চলবে প্রায় ১০০% লোকাল,বৈঠকে সহমত রেল ও রাজ্য

অফিস টাইমে চলবে প্রায় ১০০% লোকাল,বৈঠকে সহমত রেল ও রাজ্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘ আট মাস পর লোকাল ট্রেনের চাকা গড়াতে শুরু করেছে। যদিও ট্রেন চলার প্রথম দিনেই অফিস যাত্রীদের ভিড় দেখা গিয়েছে লক্ষ্য করার মতন। যথারীতি এই ভিড়ে করোনা বিধি-নিষেধ শিকেয় উঠেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি বিচার করে গতকালই  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি অফিস টাইমে 100% লোকাল ট্রেন চালানোর আবেদন রাখবেন রেলের কাছে। অন্যদিকে, রেল রাজ্য সরকারের এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একমত হয়েছে।

এবার থেকে অফিস টাইমে 100% লোকাল ট্রেন চলবে বলে জানা গেছে। আপাতত দিনে 696 টি লোকাল ট্রেন চলছে। অফিস টাইমে চলছে 75% লোকাল। রেল এবং রাজ্যের বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অফিস টাইমে 100% ট্রেন চলার কথা ঘোষণা করে রেল। অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে প্রথম থেকেই রেলের পক্ষ থেকে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার পাশাপাশি মাস্ক পরার ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে প্রথম দিন ট্রেন চালায় লকডাউন এর আগের সেই ভিড় চোখে না পড়লেও অফিস টাইমে ভিড় কিন্তু নেহাত কম ছিলনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ট্রেন চালানোর প্রথমভাগে রেলের তরফ থেকে নিয়ম করা হয়েছিল 600 জন কে নিয়ে লোকাল ট্রেন চলবে। কিন্তু দুদিনেই সেই নিয়ম খাতায়-কলমে থেকে গেছে এবং রেল কর্তৃপক্ষ তা মেনেও নিয়েছে। ইতিমধ্যে রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে দুদিনে প্রতিটি ট্রেনে 1200 র কাছাকাছি যাত্রী হয়েছে। হাওড়া শিয়ালদায় একদিনে 10 লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেছেন গতকাল। স্বাভাবিক সময়ে অবশ্য তা 30 লক্ষ ছোঁয়। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার জন্য যাত্রী সংখ্যা কিছুটা কম। ইতিমধ্যেই ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে হাওড়ায়। যেখানে 202 টি ট্রেন চালানোর কথা ছিল, সেখানে 103 টি ট্রেন অতিরিক্ত বাড়ানো হয়েছে।

আগামী শুক্রবার থেকেই অফিস টাইমে ট্রেনের সংখ্যা আরো বাড়তে চলেছে রেল বলে জানা গেছে। মনে করা হচ্ছে, ট্রেনের সংখ্যা বাড়লে ভীড় হয়তো কিছুটা কমবে। নিত্যযাত্রীরা নিজেরাই করোনাবিধি মানা নিয়ে যথেষ্ট সন্দীহান। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বেশী ট্রেন চললে সময়ের ব্যবধান কমবে এবং তার ফলে ভীড়ও হয়তো কিছুটা কমবে। তবে দেখা গেছে, অফিস টাইমে বা ব্যস্ত সময়ে বহু স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় ছিল ট্রেনের কামরায় দরজার সামনে। প্লাটফর্মে ট্রেন এসে দাঁড়াতেই আগের মতন দৌড় কামরায় তড়িঘড়ি ওঠার জন্য। তবে মাস্কের কারণে কিংবা করোনাবিধি মানা কারণে যাত্রীদের অধিকাংশের শরীরী ভাষা থেকে স্পষ্ট- তাঁরাও যথেষ্ট সতর্ক, সচেতন ও সাবধানী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!