এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিজেপির দলীয় কোন্দল চরমে, প্রভাবশালী নেতা সাসপেন্ড হতেই অস্বস্তি বাড়িয়ে বড় ভাঙ্গনের ইঙ্গিত?

বিজেপির দলীয় কোন্দল চরমে, প্রভাবশালী নেতা সাসপেন্ড হতেই অস্বস্তি বাড়িয়ে বড় ভাঙ্গনের ইঙ্গিত?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে গেলে বিজেপিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে। কিন্তু বর্তমানে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল যে পর্যায়ে রয়েছে, তাতে গেরুয়া শিবির ঐকবদ্ধ হয়ে কিভাবে বিধানসভা নির্বাচনে লড়বে, তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে বড়সড় প্রশ্ন। জানা গেছে, বর্তমানে শ্রীরামপুর জেলায় বিজেপি দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। বর্তমান জেলা সভাপতি বনাম প্রাক্তন জেলা সভাপতির মধ্যেকার দ্বন্দ্ব তীব্র অস্বস্তিতে ফেলেছে গেরুয়া শিবিরকে।

আর এরই মাঝে 6 বছরের জন্য জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে প্রাক্তন সভাপতি সুমন ঘোষকে সাসপেন্ড করার কথা জানান বর্তমান সভাপতি শ্যামল বসু। যেখানে সুমন ঘোষের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ তোলেন যে, দীর্ঘদিন দলের সঙ্গে যুক্ত না থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি করে যাচ্ছিলেন। জেলাকে না জানিয়ে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে দল বিরোধী কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে সুমনবাবুর বিরুদ্ধে।

আর বর্তমান সভাপতি প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে তাকে সাসপেন্ড করায় এখন রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব এরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তাদেরই অসুবিধা হবে। কেননা এরপর যদি প্রাক্তন সভাপতি এবং তার অনুগামীরা দলত্যাগ করেন, তাহলে চরম অসুবিধায় পড়বে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেদিক থেকে সুমন ঘোষের মত প্রাক্তন জেলা সভাপতি তার অনুগামীদের নিয়ে যদি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন, তাহলে বিজেপির কাছে তা আরও অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করছে সকলে।যদিও তৃণমূলে যাবেন কিনা সে নিয়ে মুখ খোলেননি এই হেভিওয়েট।

কিন্তু তাকে যেভাবে বহিষ্কার করা হল, এই প্রসঙ্গে তিনি কি বলবেন? এদিন এই ব্যাপারে বর্তমান জেলা সভাপতি শ্যামল বসুর এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি সুমন ঘোষ। তিনি বলেন, “আমাকে বহিষ্কার করার কোনো এক্তিয়ার শ্যামল বসুর নেই।”

আর এখানেই প্রশ্ন, যেভাবে দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে, তাতে যদি এভাবে গোষ্ঠী কোন্দল চলতে থাকে, তাহলে বিধানসভার সমস্যায় পড়বে দল। আর যদি সাসপেন্ড হয়ে সুমনবাবু দলবদল করেন, তাহলেও গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়বে।

তাই বিধানসভার আগে দো তরফা চাপে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি ।এখন পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা এবং তাতে অবস্থার উন্নতি হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!