এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > গ্রামীন বিবাদের জেরে সৎকারে বাঁধা – পিছনে বিজেপির ‘চক্রান্ত’ দেখছে তৃণমূল

গ্রামীন বিবাদের জেরে সৎকারে বাঁধা – পিছনে বিজেপির ‘চক্রান্ত’ দেখছে তৃণমূল


রাজ্য রাজনীতিতে প্রায়ই বিভিন্ন ইস্যুতে একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হয় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যতম প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। কিন্তু রাজনীতির এই অন্তর্কলহ যে ব্যক্তি জীবনেও এসে পড়বে তা সত্যিই কল্পনার অতীত ছিল প্রত্যেকেরই। এবার মৃতদেহ সৎকারকে কেন্দ্র করেও একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করল বাংলার বর্তমান শাসক ও বিরোধীরা!

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বেলদার মান্দার পশ্চিম গ্রামের বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের সন্ধ্যা দোলাই প্রয়াত হন। এদিকে মৃতার সৎকারের জন্য তাঁর ছেলেরা পাড়ার অন্যান্য লোকজনকে ডাকতে গেলে প্রতিবেশীরা জানিয়ে দেন যে তাঁরা এই সৎকারের কাজ করবেন না। জানা যায়, মৃতার এক ছেলের সাথে প্রতিবেশীদের একাংশের তীব্র বিবাদ হয়েছিল। মূলত গ্রামের এক যুবকের বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই বিরোধ বাঁধে।

আর তার জেরেই এবার সেই মৃতার সৎকারের ব্যাপারে অসহযোগিতার অভিযোগ আসে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য পঞ্চায়েত ও স্থানীয় তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃত্ত্বের সহযোগিতায় সেই সৎকারের কাজ সম্পন্ন হয়। এদিকে সৎকারের ব্যাপারে প্রতিবেশীদের একাংশের অসহযোগিতার পিছনে আসলে বিজেপি যোগ রয়েছে বলে মনে করছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ত্ব। জানা গেছে, মৃতার ছেলে সহ দুজনকে মারধরও করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ত্বের অভিযোগ, “এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি যুক্ত। আমাদের দলের কর্মীরা উদ্যোগ নিয়ে মৃতদেহ সৎকার করেছে”। তৃণমূলের তরফে আরও জানানো হয়েছে, “আগের ঘটনার জন্য মৃতার স্বামী নগেন্দ্রবাবু ওঁদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু ওঁরা সৎকার করতে রাজি হয়নি, উল্টে মারধর করেছে। এর পেছনে বিজেপিরই মদত আছে”।

এদিকে তৃণমূলের করা এই সমস্ত অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ত্ব। বিজেপির তরফে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়, “আগের একটি বিবাদের জেরে স্থানীয় বাসিন্দারাই মৃতদেহ সৎকার না করার সিদ্ধান্ত নেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জোর করে সৎকার করতে গেলে বিরোধ বাঁধে। এর সঙ্গে রাজনীতি বা বিজেপি যোগের কোনো সম্পর্কই নেই”। সব মিলিয়ে এবার মৃতদেহ সৎকারেও বঙ্গ রাজনীতির শাসক বনাম বিরোধী টানাপোড়নের ছায়া দেখে রীতিমত হতবাক রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!