এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফরকে তীব্র কটাক্ষ বিরোধী শিবিরের

প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফরকে তীব্র কটাক্ষ বিরোধী শিবিরের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপিতে যতই রথী-মহারথী থাকুন না কেন, বিজেপির প্রধান কান্ডারী যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ক্যারিশমার ওপর নির্ভর করেই দেশজুড়ে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে বিজেপি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপরেই ভরসা রাখছে। এ কারণে নির্বাচনের পূর্বে আরো ১৯ বার রাজ্যে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী,করতে চলেছেন একাধিক জনসভা। রাজ্য রাজনীতির ইতিহাসে যা অভূতপূর্ব বলা চলে। ইতিপূর্বে কোন প্রধানমন্ত্রীই নিজের দলের প্রচার করতে নির্বাচনের পূর্বে এতবার আসেননি পশ্চিমবঙ্গে।

গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন ১৭ বার। এবার ব্রিগেড জনসভা সহ প্রধানমন্ত্রী মোট ২০বার প্রচারের কাজে আসতে চলেছেন রাজ্যে নির্বাচন কালে। প্রধান মন্ত্রীর এই ঘন ঘন রাজ্য সফরকেই নানাভাবে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে তৃণমূল সহ একাধিক বিরোধী শিবির। বিরোধী মূলত তৃণমূলের দাবি, বাংলায় বিজেপির মেরুদন্ড দুর্বল, এ কারণেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াই করতে ২০ বার ভোটের প্রচারে রাজ্যে আসতে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে।

তাঁদের আরও কটাক্ষ, নিজেদের দলের লোক নিয়েও লড়াই করছে না বিজেপি। রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির বেশিরভাগ নেতাই হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা। তাই প্রধানমন্ত্রীর না এসে উপায় কি? বিরোধীদের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির পাল্টা জবাব, প্রধানমন্ত্রী আসছেন দেখে, ভয় বাড়ছে বিরোধীদের। এ কারণেই, এ ধরনের মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে তাঁদেরকে।

এ প্রসঙ্গে দমদমের বর্ষিয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানালেন যে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীকে তিনি দেখেছেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর হয়ে কোনদিন রাজ্যের বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এতবার রাজ্যে আসেননি, যতবার আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি জানান, অর্থনীতিতে ল অফ ডিমিনিশিং রিটার্ন বলে একটা তত্ব আছে। এই তত্বে বলা হয় যে, কোন কিছু বৃদ্ধি পেতে পেতে একটা চূড়ান্ত অবস্থায় পৌঁছে গেলে, শেষে সেই বৃদ্ধির ঊর্ধ্বমুখী কার্ভটা আবার নিচের দিকে নেমে আসতে থাকে। এখানে সেটাই হচ্ছে। তিনি দাবি করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড ছিল সেই চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছে যাওয়া। এবার সেই কার্ভটা নিচের দিকে নেমে আসতে শুরু করবে।

আবার, প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফর সম্পর্কে রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য জানালেন যে, এতে তিনি কি বলবেন? বিজেপি মনে করছে ২০ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে রাজ্যে আনতে পারলেই তারা জিততে পারবে। তাই তারা সেটা করছে। কিন্তু তিনি কোনদিন দেখেননি যে, একজন প্রধানমন্ত্রী একটা বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ২০ বার রাজ্যে এসেছেন।

তিনি কটাক্ষ করেছেন, এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, রাজ্যে বিজেপির কতটা করুন অবস্থা। বিরোধীদের এসব বক্তব্যকে কোনো গুরুত্বই দেয় নি বিজেপি শিবির। বিজেপির কটাক্ষ রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আসছেন বলে, বিরোধীরা ভয় পেয়েছেন। এ কারণেই তাঁরা এমন ধরনের মন্তব্য করেছেন।

এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা জানালেন যে, আসলে প্রধানমন্ত্রীকে ভয় পেয়েছেন বিরোধীরা। তাই বিরোধীরা ভাবছেন, তিনি যেন রাজ্যে না আসেন। কারণ প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনতে চান মানুষ। তিনি জানান যে, মনমোহন সিং যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি কথা বললে, তাঁর বক্তব্যে মানুষ তেমন মনোযোগ দিত না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন যেখানে যা বলেছেন, তা মানুষ আগ্রহের সঙ্গে শুনেছেন।

এখনো পর্যন্ত তিনি ২০ বার রাজ্যে আসবেন বলে ঠিক হয়েছে। রাজ্য বিজেপি চাইলে তিনি আরও ৪,৫ বার রাজ্যে আসতে পারেন। তৃণমূলের প্রতি তাঁর প্রশ্ন, এতে তৃণমূল এত ভয় পাচ্ছে কেন? প্রসঙ্গত, গত ৭ ই মার্চ ব্রিগেডের জনসভাতে যোগদান করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই জনসভায় ব্যাপক জনসমাগম হয়েছিল। আর এই ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী আসল পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!