এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > তৃণমূলের চালেই তৃনমূল বধ? দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কুরুচিকর প্রচার হতেই বড়সড় পদক্ষেপ বিজেপির!

তৃণমূলের চালেই তৃনমূল বধ? দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কুরুচিকর প্রচার হতেই বড়সড় পদক্ষেপ বিজেপির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টবঙ্গ রাজনীতিতে কুরুচিকর আক্রমণ নতুন কিছু নয়। কিন্তু মাঝেমধ্যেই শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া সেই সমস্ত মন্তব্য বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছে যায়। এক্ষেত্রে আদালত পর্যন্ত গড়িয়ে যায় বেশ কিছু ঘটনা।

তবে পুলিশ তৃণমূলের সঙ্গে যোগসাজশ করে গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমর্থকদের ওপর প্রতিহিংসাপরায়ন আচরণ করছে এই অভিযোগ বিজেপির দীর্ঘদিনের। দেখা যেত, যদি কখনও বিজেপির কোনো নেতা বা কর্মী তৃণমূলের উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য করত, তাহলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে দু মিনিট ভাবত না।

কিন্তু ঠিক উল্টোটা হত বিজেপির ক্ষেত্রে। তৃণমূলের কোনো নেতা বা কর্মী বিজেপির উদ্দেশ্য অশ্লীল মন্তব্য করলেও, বিজেপির পক্ষ থেকে যদি থানায় অভিযোগ করা হত, তাহলে তৃণমূলের কাউকে ধরা হত না বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। যার ফলে দীর্ঘদিন ধরে শাসকদলের বিরুদ্ধে এবং পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

কিন্তু এবার তৃণমূলের চালেই তৃণমূলকে বধ করতে চলেছে বিজেপি। জানা গেছে, সম্প্রতি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মন্তব্য করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দুই তৃণমূল যুব নেতা। যেখানে দিলীপবাবুর সাথে একটি তরুণীর ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে আপত্তিকর কিছু মন্তব্য করা হয়েছিল।

আর এরপরই সেই তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম থানার বিজেপির পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখন গেরুয়া শিবির দেখে নিতে চাইছে যে তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রশাসন এই দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে কিনা। কেননা তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ যতটা সক্রিয়, এমন গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের ভিত্তিতে যদি তৃণমূলের বিরুদ্ধে সেভাবে পুলিশ সক্রিয় না হয়, তাহলে বিজেপির পক্ষ থেকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করা হবে।

যার ফলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভোটব্যাংকে এই ঘটনার জন্য অনেকটাই প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি সংস্কৃতি করে আসছে অভিযুক্তরা শাস্তি পাবে।” তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত যুবকদের সঙ্গে তাদের কোনো যোগ নেই।

কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখন যে কথাই বলা হোক না কেন, বিজেপির এখন প্রধান লক্ষ্য, পুলিশ প্রশাসন কি করে! কেননা পুলিশ যদি তৃণমূলের এই সমস্ত অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে বিজেপি সেই ইস্যু নিয়ে আবার আন্দোলনে যাবে। যা নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে ফেলবে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!