এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নাগরিকত্ব নিয়ে বিজেপির বড়সড় পরিকল্পনা, চাপে পড়তে চলেছে তৃনমূল? জেনে নিন বিস্তারিত!

নাগরিকত্ব নিয়ে বিজেপির বড়সড় পরিকল্পনা, চাপে পড়তে চলেছে তৃনমূল? জেনে নিন বিস্তারিত!


2019 সালের 10 জানুয়ারি থেকে লাগু হওয়া সংশোধিত নাগরিক আইন অনুযায়ী 2014 সালের 31 শে ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত হিন্দু, খ্রিষ্টান, শিখ, জৈন এবং বৌদ্ধ শরণার্থীরা ভারতে এসেছেন, তাদেরকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তবে এই আইন নিয়ে প্রথমদিন থেকেই সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ভারতবর্ষের বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সংশোধিত নাগরিক আইন বিরোধিতায় সবচেয়ে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইস্যুতে প্রায় প্রত্যেক দিনই ভারতীয় জনতা পার্টি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে আক্রমণ প্রতিআক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।

আর এবার সংশোধিত নাগরিক আইন ইস্যুতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলতে দেখা গেল রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এ বিষয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে রীতিমত কটাক্ষ করেন দিলীপ বাবু মন্তব্য করেন, বিজেপি নেতারা ঘরে ঘরে যাবেন এবং তারাই বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদেরকে ফর্ম পূর্ণ করে সহযোগিতা করবেন। ভারতের নাগরিকত্ব লাভের ব্যবস্থা করে দেবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এক্ষেত্রে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ করে দীলিপবাবু বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস বাংলা এবং ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে বিজেপি দেখতে চায়, তৃণমূল দেশ এবং বাঙালির বিরুদ্ধে কতটা পরিমাণ যেতে পারে।” এই বিষয়ে দীলিপবাবু আরও বলেন, “যদি তৃণমূল-বিজেপিকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে, রাজ্যই তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি প্রত্যেক শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দেবে।” আশানুরূপ ভাবেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের মূল নিশানায় ছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিনের বক্তব্যে দীলিপবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার ভাইয়েরা সিএএ প্রয়োগ করতে দেবে না বলে হুমকি দিয়েছে। তারা এই ধরনের কাজ করতে পারেন না। তাদের সেই ক্ষমতা নেই। বিজেপি বাড়ি বাড়ি যাবে এবং মানুষকে ফর্ম পূর্ণ করতে সাহায্য করবে।” আগামী দিনে অনলাইনের মাধ্যমেই ফর্ম ফিলাপ করা হবে বলে জানিয়ে দেন মেদিনীপুরের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যেভাবে এনআরসি এবং সংশোধিত নাগরিক আইন বিরোধিতায় রাস্তায় নামা হয়েছে। এই সমস্ত আইনের স্বপক্ষে প্রচারের দিক থেকে অতটা সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। সেই কারণেই অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। এখন আগামী দিনে সংশোধিত নাগরিক আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি সমর্থনে ভারতীয় জনতা পার্টি মানুষকে কতটা বোঝাতে পারে! সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!