এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপি তৃণমূল নয় বঙ্গ রাজনীতির এখন পুরোটাই শুভেন্দু, তৃণমূল থেকে বিরোধী চর্চা সর্বত্র!

বিজেপি তৃণমূল নয় বঙ্গ রাজনীতির এখন পুরোটাই শুভেন্দু, তৃণমূল থেকে বিরোধী চর্চা সর্বত্র!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে রীতিমত উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এর অন্দরমহল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে এখন অরাজনৈতিক সভায় যোগ দিতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীকে। সরকারিভাবে তিনি এখনো তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা, রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী। কিন্তু ক্রমাগত দল এবং সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে তার আচার-আচরণ জল্পনা বাড়াতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা “দাদার অনুগামী” বলে পোস্টার লিখছেন।

কিন্তু সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর দল তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো প্রতীক, নাম-নিশান দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের অনেকেই শুভেন্দু অধিকারীর এই আচার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর ঘোর বিরোধী বলে পরিচিত রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি। তিনি বলেন, “দলের মধ্যে থেকে দলের নেত্রীর ছবি দিয়ে পোস্টার লাগাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বিনা ছবিতে কিংবা পতাকা নিয়ে যারা মিটিং-মিছিল করছেন, সেটা দলের কর্মসূচি নয়।”

এদিকে কিছুদিন আগেই এই ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারীকে নাম না করে কটাক্ষ করেছিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “পথ ভাবে আমি দেব’ রথ ভাবে আমি’….” তবে তৃণমূলের একস্তরের বিধায়ক এবং মন্ত্রী এই ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারীকে নাম না করে কটাক্ষ করলেও, অনেকে আবার এতে দলেরই লাভ দেখতে শুরু করেছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ও এখন তৃণমূলেই রয়েছেন। দলের নেতা নেত্রী থেকে কর্মী, সবাই শুভেন্দু অধিকারীকে ভালোবাসে। শুভেন্দু যে জনসভাই করুক না কেন, তাতে তৃণমূলের লাভ।”

অর্থাৎ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যে জল্পনা চলছে, তার সবটাই ভিত্তিহীন। একাংশের মতে, তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর যদি কারও জনপ্রিয়তা সবথেকে বেশি হয়ে থাকে, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। আর এহেন হেভিওয়েট নেতা যদি বিধানসভা নির্বাচনের আগে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তার ফল ভোগ করতে হতে পারে ঘাসফুল শিবিরের। তাই এমত পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দিয়ে অরাজনৈতিক পোস্টার সম্পর্কে অনেকে তার বিরোধিতা করলেও কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত তৃণমূল নেতারা অবশ্য শুভেন্দু অধিকারীকে ক্ষেপাতে চাইছেন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী তৃনমূলেই থাকছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তার পিতা তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে নানা মন্তব্য করা হলেও, শুভেন্দু অধিকারীর চাল-চলন কিন্তু ক্রমশ সন্দেহের বীজ বপন করতে শুরু করেছে। যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী দল এবং প্রশাসনকে না জানিয়ে একের পর এক জেলা সফর করছেন, তাতে তিনি নতুন টিম গঠনের দিকে মনোযোগী হয়েছেন বলে দাবি করছেন একাংশ।

আর যদি এই নতুন টিম গঠন করে তিনি নয়া কোনো রাজনৈতিক মঞ্চ গঠন করেন, তাহলে তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যেতে পারে বাংলার রাজনীতিতে। কেননা এই শুভেন্দু অধিকারীর বিস্তার রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই আছে। সেদিক থেকে তিনি যদি তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করার মত সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে শাসকদলের তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরা কার্যত কঠিন হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, চর্চার চর্চিত কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা শুভেন্দু অধিকারী এখন কোন পথ অবলম্বন করেন, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!