এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জেলা কমিটিতে নতুন মুখ, খুশি দিলীপ, ক্ষোভ কিন্তু বাড়ছে দলের অন্দরে!

জেলা কমিটিতে নতুন মুখ, খুশি দিলীপ, ক্ষোভ কিন্তু বাড়ছে দলের অন্দরে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গঠন হল হুগলির নতুন জেলা কমিটি। আর সেই জেলা কমিটিতে পুরনো-নতুনের সামঞ্জস্য বজায় রেখে তাতে সকল স্তরের নেতাদেরকেই গুরুত্ব দেওয়া হল। কিন্তু এই নতুন জেলা কমিটিতে জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব খুশি হলেও নীচুতলায় তৃণমূলের কর্মী মহলে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে বলে দাবি করছেন একাংশ। ইতিমধ্যেই এক ব্লক সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে দলবদলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। যার ফলে এমনিতেই চিন্তা বৃদ্ধি হচ্ছে শাসকদলের অন্দরমহলে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার চুঁচুড়ায় তৃণমূলের নতুন জেলা কমিটি এবং ব্লক ও টাউন কমিটি মিলিয়ে মোট 30 টি কমিটি গঠনের কথা ছিল। কিন্তু মাঝপথে তা স্থগিত হয়ে যায়। আর এরপরই রবিবার সেই কমিটি ঘোষণা করা হয়। জানা গেছে, নতুন জেলা কমিটির সদস্য হয়েছেন 88 জন ব্যক্তি। যার মধ্যে 35 জন নতুন মুখ। অন্যদিকে 31 টি ব্লক এবং টাউন কমিটিতে 20 টি জায়গায় নতুন মুখকে আনা হয়েছে। তবে এই কমিটি নিয়ে বেশ কিছু বিতর্ক দানা বাধতে শুরু করেছে।

যেখানে তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মসহায়ক অরিত্র চট্টোপাধ্যায়কে জেলার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে হরিপালের জেলা পরিষদের সদস্য শম্পা দাসকে নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা হলেও তাকে জেলা কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে। একইভাবে জেলা কমিটিতে জায়গা হয়েছে হরিপালের তৃণমূল নেতা সমীরন মিত্র এবং চুঁচুড়ার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান অমিত রায়ের। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বলা বাহুল্য, এই হুগলি জেলা নিয়ে ব্যাপক সমস্যায় ছিল রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। কেননা এই জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছিল। রবিবার সেখানে জেলা কমিটির ব্লক কমিটি ঘোষণা করা হয়। যেখানে একগুচ্ছ নতুন মুখ আনা হয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু পুরনো মুখকে সরিয়ে এই নতুন মুখ আনায় এখন দলের নীচুতলায় ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে বলে দাবি একাংশের।

যার ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বা এই ব্যাপারে জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেনড় “আমরা চেয়েছিলাম জেলা কমিটিতে নতুন মুখ আসুক। রাজ্য নেতৃত্ব অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের সেই আর্জিকে মান্যতা দেওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ।” তবে জেলা সভাপতি যে কথাই বলুন না কেন, আগামী দিনে এই জেলা কমিটিকে নিয়ে দ্বন্দ্ব বাড়ে, নাকি তাকে সামাল দেওয়া যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!