এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির বিজয় মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার উত্তরবঙ্গ, চলল গুলি, ফাটল‌ মাথা

বিজেপির বিজয় মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার উত্তরবঙ্গ, চলল গুলি, ফাটল‌ মাথা


সম্প্রতি নিমতায় নিহত তৃণমূল কর্মী নির্মল কুণ্ডুর বাড়িতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন “রাজ্যে আর কোন বিজয় মিছিল করা যাবে না।” কিন্তু একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কোনো দল জয়ী হলে তারা কেন সেই জয়ের আনন্দে বিজয় মিছিল করবে না! তা নিয়ে পাল্টা তৃণমূল নেত্রীর দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় গেরুয়া শিবির।

যেনতেন প্রকারেণ বিজয় মিছিল তারা সারা রাজ্য জুড়েই করবেন বলে জানিয়ে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আরে এতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। আজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের জয়ের আনন্দে সাধারণ মানুষকে অভিনন্দন জানাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিজয় মিছিলের জন্য আসেন।

কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো গতকাল সারা জেলা জুড়ে পুলিশের পক্ষ থেকে 144 ধারা জারি করে দেওয়া হয়। আর তখনই একাংশ প্রশ্ন তোলেন, তাহলে কি বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিজয় মিছিল করতে পারবেন না! আর এই পরিস্থিতিতে আজ সকাল থেকেই সরগরম হয়ে ওঠে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা। বেলা গড়াতেই তা হাতাহাতি এবং রণক্ষেত্র পরিস্থিতির আকার নেয়।

সূত্রের খবর, এদিন প্রথমে বুনিয়াদপুরের জেলা বিজেপি কার্যালয়ে পৌঁছলে দিলীপ ঘোষকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আর তারপরই পুলিশের পক্ষ থেকে বিজেপিকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, 144 ধারা জারি থাকায় কোনো মিছিল অনুষ্ঠিত হবে না। কিন্তু বিজেপি সেই সমস্ত নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই মিছিল বের করে হাঁটতে থাকে।

এদিকে এই মিছিল গঙ্গারামপুরে পৌঁছলে সেখানে পুলিশ আবার বিজেপিকে বাধা দিলে তাতে বিজেপি কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। আর এতেই পুলিশ বনাম বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। যেখানে বিজেপি কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে একজন পুলিশ কর্মীর মাথা ফেটে যায়। এদিকে পুলিশের লাঠির আঘাতে তাদের অনেক কর্মীও আহত হয়েছে বলে দাবি করে গেরুয়া শিবির।

এদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মতো শান্ত জেলায় এইভাবে পুলিশ বনাম বিজেপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি হওয়ায় আতঙ্কে অনেকেই। অনেকে বলছেন, এটা প্রথম নয়, এর আগেও বিগত বাম সরকারের আমলে এই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার চকভৃগুতে শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে পুলিশের 2 টি গাড়িকে ভস্মীভূত করে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই সময়ও বিরোধী রাজনীতিতে শিরোনামে উঠে এসেছিল আজকের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

কথায় আছে, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়। আর সেই মতো এবার রাজ্যের সেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে এবার অতীতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার চকভৃগুর ভয়াবহ শাসক-বিরোধী সংঘর্ষের স্মৃতি আরও একবার উসকে দিল আজকের গঙ্গারামপুরে বিজেপির এই বিজয় মিছিলকে ঘিরে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে, তাই শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালানো হচ্ছে। নিজেরাই অশান্তির পরিবেশ তৈরি করে এখন বিজেপির ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছে।” তবে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপি একটি সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল। মিথ্যে কথা বলে দাঙ্গা করাই তাদের উদ্দেশ্য। আর তাইতো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এসে তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।

কিন্তু রাজ্যের বর্তমান শাসকদল যে দাবিই করুন না কেন, সাধারণ মানুষের জনাদেশ নিয়ে বালুরঘাটে বিজেপি প্রার্থী ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করলেও সেই সাধারণ মানুষকেই যদি ধন্যবাদ জানাতে বিজেপি কোনো কর্মসূচি নেয়, তাহলে তাতে বাধা দেওয়ার কি খুব বেশি প্রয়োজন ছিল তৃণমূলের!

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষ সব দেখছে। আগামী বিধানসভায় আবারও ভোটবাক্সে সকলে এর জবাব দেবে। কিন্তু কি হবে! কোনদিকে যাবে পরিস্থিতি! শান্তি-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা পুলিশ প্রশাসন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন কি পদক্ষেপ নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!