বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিজেপি কর্মীদের পঞ্চায়েত অফিসে ডেকে পেটানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে কলকাতা মেদিনীপুর রাজ্য September 1, 2019 দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস এবং মিথ্যে অভিযোগে তাদের জেলে পোরানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি বাংলায় কিছুটা ভাল ফলাফল করলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সেই সন্ত্রাসের অভিযোগ আরও বাড়তে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, লোকসভায় তৃণমূল কিছুটা পর্যদুস্ত হওয়ার পর প্রতিহিংসাপরায়ণ ভাবেই তারা বিজেপির প্রতি আরও কড়া আক্রমণ নামিয়ে আনছে। এবার সরকারি প্রকল্পে বাড়ি দেওয়ার নাম করে পঞ্চায়েত অফিসে নিয়ে গিয়ে বিজেপি সমর্থকদের ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, শনিবার দুপুরে কেশপুরের কুয়াই পঞ্চায়েতের কোনান গ্রামে এই ঘটনা ঘটলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিজেপির অভিযোগ, এদিন প্রথমে তাদের কর্মীরা পঞ্চায়েত অফিসে গেলে সেখানেই তৃণমূলের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। আর এরপরই সেই আহত বিজেপি কর্মীরা গ্রামে ফিরে পাল্টা তৃণমূল কর্মীদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তবে বাড়ি তৈরীর নাম করে তাদের ডেকে পাঠানো হলে তারা পঞ্চায়েত ঘরে যেতেই সেই ঘরের দরজা বন্ধ করে কুড়ুল, রড দিয়ে তাদের ব্যাপক মারধর করা হয় বলে জানান আহত বিজেপি কর্মী রূপক পন্ডিত। একই অভিযোগ করেছেন সুজলা পন্ডিত নামে এক ব্যক্তিও। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতা রামচন্দ্র পাতর বলেন, “কেশপুরে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা করা হয়েছে। রাজ্যের সর্বত্র তৃণমূলের মাফিয়া ও পুলিশের যৌথ অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন বিজেপির কর্মীরা। আসলে বিজেপির সমর্থন যত বাড়ছে, তৃণমূলের সন্ত্রাস তত বাড়ছে।” যদিও বা বিজেপির এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান হাবিবা বেগম। এদিন তিনি বলেন, “আবাস যোজনা প্রকল্পের নাম রেজিস্ট্রি করার জন্যই বাসিন্দাদের পঞ্চায়েত অফিসে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু কোনো গণ্ডগোল হয়নি। কোনান গ্রামে আমাদের কর্মীদের উপর বিজেপি হামলা চালিয়েছে। আমাদের পতাকা ছেড়ে দিয়েছে। আসলে বিজেপি এখন মিথ্যে আমাদের নামে দোষারোপ করছে।” সবমিলিয়ে তৃনমূল বনাম বিজেপির অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে এবার সরগরম কেশপুর। আপনার মতামত জানান -