প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিজেপির বিরুদ্ধে একমাত্র লড়াই করছে তৃণমূল কংগ্রেস, বারবার এই দাবি করতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে বাংলার বঞ্চনা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিজেপিকে হটানোর জন্য বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু তার সেই আহ্বানে কতটা সাড়া দেবে অন্যান্য বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো, তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই রে আরও তীব্র হবে, তা ফেসবুক পোস্টের মধ্যে দিয়ে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, সোমবার নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনের পরেই একটি ফেসবুক পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি লেখেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। বাংলার বঞ্চনা নিয়ে এই লড়াই চলবে। যতদিন না জয় আসছে, ততদিন এই লড়াই চালিয়ে যাব।” তবে মুখ্যমন্ত্রী যখন এই ধরনের ফেসবুক পোস্ট করছেন, তখন তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না গেরুয়া শিবিরের একাংশ। তাদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সারা জীবন এই লড়াই করে যেতে হবে। দুর্নীতিতে আপাদমস্তক জড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূল সরকার। তাই আকন্ঠ দুর্নীতিতে জড়িয়ে দেশের বিজেপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব হবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে। আগামী দিনে রাজ্যে তৃণমূল সরকার কতদিন থাকবে, এখন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে কটাক্ষ পদ্ম শিবিরের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপির বিরুদ্ধে আরও বেশি করে লড়াই করবার আহ্বান জানিয়ে তৃণমূল নেত্রী হয়তো বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন। কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই অনুভব করেছেন যে, জাতীয় রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই কমছে। কর্নাটকে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে কংগ্রেস যদি বিজেপির বিরুদ্ধে শক্তিশালী হয়ে যায়, তাহলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বিজেপি বিরোধী প্রধান দল হিসেবে লড়াই দিতে পারে। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের প্রয়োজন অনেকটাই কমে আসতে পারে। আর তা যদি হয়, তাহলে জাতীয় রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে নিজের দলের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি করবেন, তা একটা বড় প্রশ্নের বিষয়। তাই এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বিরোধী সুরকে আরও চওড়া করে জাতীয় রাজনীতিতে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই বিজেপি বিরোধী আন্দোলনের বার্তা দিতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।