এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে পঞ্চায়েত দখল? চাপে পড়ে কড়া পদক্ষেপ তৃণমূলের!

বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে পঞ্চায়েত দখল? চাপে পড়ে কড়া পদক্ষেপ তৃণমূলের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃণমূল কংগ্রেসের এখন প্রধান বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত ভারতীয় জনতা পার্টি পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু করে ত্রিপুরা প্রত্যেকটি জায়গাতেই বিজেপিকে কুপোকাত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু যে বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের দুচোখের বিষ সেই বিজেপিকেই সমর্থন করতে করতে দেখা গেল তৃণমূলের একাংশকে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মালদহ জেলায়। যেখানে এই জেলার একটি পঞ্চায়েতে তৃণমূলের একাধিক সদস্য বিজেপিকে সমর্থন করেছে বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই রীতিমতো সেই সমস্ত দলীয় সদস্যদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। অর্থাৎ যখন একদিকে তৃণমূলের সঙ্গে চরম দ্বৈরথ বিজেপির, ঠিক তখনই তৃণমূলের একাংশ যেভাবে সেই বিজেপিকে সমর্থন করছে, তাতে রীতিমতো চাপে ঘাসফুল শিবির।

জানা গিয়েছে, মালদহের চৌকি মির্দাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তপশিলি মহিলা প্রধান হওয়ার কারণে বিজেপি থেকে মাম্পি রজক প্রধান হয়েছিলেন। তবে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের পর সেই মাম্পি রজকের বিরুদ্ধে বিজেপির একাংশ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে উদ্যোগী হন। আর সেখানেই সমর্থন করেন তৃণমূলের পাঁচ নির্বাচিত সদস্য। স্বাভাবিক ভাবেই কেন এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের পাঁচ সদস্য জড়িত হলেন, তা নিয়ে দলের অন্দরে তৈরি হয় প্রশ্ন। আর তারপরেই সেই পাঁচ সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার করার কথা জানিয়ে দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে জোরদার লড়াই হলেও বারবার সিপিএমের পক্ষ থেকে গোটাটাই অভ্যন্তরীণ বোঝাপড়া বলে দাবি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তৃণমূল এবং বিজেপি একই বলে দাবি করেছে মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি। কিন্তু মানুষের মনে সেই বিশ্বাস টেকেনি। তবে বর্তমানে যখন তৃণমূল শাসক দলের ক্ষমতা এবং বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি, তখন সেই বিজেপিকে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে। যার কারণে রীতিমতো চাপে পড়ে তড়িঘড়ি সেই সমস্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হল তৃণমূল নেতৃত্বকে। যা রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলের কাছে যেমন কিছুটা অস্বস্তিকর, ঠিক তেমনই বিশেষজ্ঞদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!