এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে নিজের দলকেই আক্রমন করে বসলেন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী! জেনে নিন

বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে নিজের দলকেই আক্রমন করে বসলেন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী! জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্রের কৃষি বিল নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে তুমুল হইচই শুরু হয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকরা সহ বিরোধী শিবিরের প্রায় প্রত্যেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই আইনের বিরুদ্ধে প্রবল সমালোচনা করেছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সবথেকে বেশি বিরোধিতা উঠে এসেছে দেশের পাঞ্জাব, হরিয়ানাসহ অন্যান্য কৃষি প্রধান রাজ্য থেকেই। ইতিমধ্যে পাঞ্জাবে গেরুয়া শিবিরের অন্যতম শরিকদল শিরোমনি আকালি কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতায় গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক চুকিয়ে দিয়েছে।

অন্যদিকে কংগ্রেস শিবির থেকে সবথেকে বেশি আন্দোলন শুরু হয়েছে বর্তমানে কৃষি বিলের বিরুদ্ধে। কিন্তু তার মধ্যেও এবার কংগ্রেসেরই প্রাক্তন মন্ত্রী যে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন, তাতে রীতিমতন আলোড়ন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি কংগ্রেসের অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী নভজ্যোত সিং সিধু অভিযোগ করেছেন, যে পাঞ্জাবে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে জেহাদ শুরু হয়েছে, সেই পাঞ্জাবেই কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ফসলের ন্যূনতম সমর্থন মূল্য পাননা। প্রকারান্তরে সিধু এদিন পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারকেই আক্রমণ করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

পাশাপাশি ফসল সংরক্ষণের উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই পাঞ্জাবে বলে সিধু এদিন দাবী করেন। নভজ্যোত সিং সিধুর এই অভিযোগে প্রবল অস্বস্তির মুখে কংগ্রেস শিবির। এদিন সিধু জানিয়েছেন, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সরব হলেও তিনি নিজের রাজ্যের কৃষকদের বহু ক্ষেত্রে বঞ্চিত করছেন। তাঁর মতে, পাঞ্জাবের কৃষকদের সমস্যা শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদিত তিনটি কৃষি আইন নয়, তাঁদের সমস্যা আরো বৃহত্তর, আরো গভীর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন সিধু দাবি করেছেন, পাঞ্জাব সরকারের ফসল কেনার কোন নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। ধান আর গম ছাড়া অন্যান্য ফসল মজুত রাখারও পরিকাঠামো নেই। সিধু এদিন দাবি করেন, পাঞ্জাবে কৃষকদের সমস্যা এতটাই বৃহত্তর, যে সেখানে দিনের পর দিন হাজার হাজার কৃষককে দেখা যায় আত্মহত্যা করতে। সিধু মনে করেন, সমর্থন মূল্যের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ফসল বিক্রির গ্যারান্টি। আর সেক্ষেত্রে ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের পাশাপাশি তৈলবীজ, ডাল, সবজি এবং ফল বিক্রির নিশ্চয়তা পাওয়া। অন্যদিকে নভজ্যোত সিং সিধুর এই অভিযোগকে পাত্তা না দিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে নতুন একটি আইন পাস করতে চলেছে পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার।

তবে নভজ্যোত সিং সিধুর কৃষি আইন নিয়ে প্রতিক্রিয়া একদিকে যেমন কংগ্রেস শিবিরকে বিপাকে ফেলেছে, ঠিক তেমনই অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারকে তাঁদের কৃষি আইনের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সমর্থন জুগিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত সিধুর মন্তব্য নিয়ে পাঞ্জাব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনোরকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সিধুর মন্তব্য যে জাতীয় রাজনীতিতে ঝড় তুলতে চলেছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। আপাতত সিধুর মন্তব্যের রেশ কতদূর যায়, সেদিকেই নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!