এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপিতে থেকেও ক্রমশ ‘নিষ্ক্রিয়’ মুকুল-শোভন! ‘আদি’ বিজেপিরা তুলে দিচ্ছেন অনেক বাঁকা প্রশ্ন!

বিজেপিতে থেকেও ক্রমশ ‘নিষ্ক্রিয়’ মুকুল-শোভন! ‘আদি’ বিজেপিরা তুলে দিচ্ছেন অনেক বাঁকা প্রশ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই বিজেপি শিবিরে শুরু হচ্ছে বিভিন্ন রকম জটিলতা। লোকসভা নির্বাচনের আগে এবং লোকসভা নির্বাচনের পরে তৃণমূল শিবির থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায় এবং শোভন চ্যাটার্জি সহ বহু তৃণমূল নেতা কর্মী। মুকুল রায় এক সময় তৃণমূলের second-in-command হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তবে বিজেপিতে যাওয়ার পর তিনি দু দুটি নির্বাচনে বিজেপিকে সুবিধাজনক জায়গায় এনে দিয়েছেন রাজ্যে বলে মনে করা হয়।

কিন্তু বর্তমানে মুকুল রায়-দিলীপ ঘোষ মতপার্থক্য নিয়ে রাজ্য বিজেপিতে মারাত্মক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে বলে গুঞ্জন। অন্যদিকে শোভন চ্যাটার্জি বিতর্ক জাগিয়ে বিজেপিতে প্রবেশ করলেও কিন্তু গত এক বছরের মধ্যে একবারের জন্যও সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেননি। আর তাই নিয়েই এবার রাজ্য বিজেপির পুরনো অনেক নেতাই প্রশ্ন তুলছেন, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে দুই হেভিওয়েট নেতা আসার ফলে কি খুব সুবিধা হল বিজেপির?

সম্প্রতি মুকুল রায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের দ্বন্দ্বের কারণে তাল কেটেছে বিজেপিতে বলে বিভিন্ন মহলে খবর। মুকুল রায় গত দুটি নির্বাচনে বিজেপিকে সুবিধাজনক জায়গায় এনে দিলেও এখনো পর্যন্ত তিনি বিজেপির কোন পদ পাননি। এই পদ না পাওয়ার ক্ষোভই যাবতীয় দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সম্প্রতি মুকুল রায়ের একদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় বৈঠক সেরে কলকাতায় ফিরে আসার ঘটনার পরেই গুঞ্জন ওঠে, মুকুল রায় এবার যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও মুকুল রায় নিজেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, তিনি বিজেপিতে আছেন এবং থাকবেন। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ সেসময় দাবি করেন, মুকুল রায়ের রাজনৈতিক জীবন কালিমালিপ্ত করার জন্যই কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃতভাবে এ ধরনের দুর্নাম রটাচ্ছে। এবং এর পেছনে রাজ্য বিজেপি সভাপতি তৃণমূলের চক্রান্তকেই বড় করে দেখেছেন। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ সহ বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবিরের একাংশ। ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবির থেকে তৃণমূলে চলে গেছেন বহু নেতাকর্মী।

যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা বিপ্লব মিত্র। অন্যদিকে বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে ইতিমধ্যে অর্জুন সিং-সহ বিজেপির অনেকেই দাবি করছেন, পদাধিকারী হয়েও তাঁরা নিজস্ব মতামত জানাতে পারেন না বলে গুঞ্জন উঠেছে। যদিও বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব সেই সব গুজব বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, হঠাৎ করে যেভাবে মুকুল রায় ‘নিষ্ক্রিয়’ হয়ে গেছেন, বা শোভন চ্যাটার্জি দলে যোগ দেওয়া থেকেই দূরে-দূরে থেকেছেন – তা নাকি ঠিক বিজেপি সুলভ নয়!

আদি বিজেপি নেতাদের অনেকেই বলছেন, মুকুল-শোভনরা এইভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকলে, বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল শিবিরকে বড়সড় সুবিধা করে দেবে! তাই যেখানে লক্ষ্য ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন’ – সেখানে এক হয়ে ময়দানে নামতেই হবে। কেননা, যদি তৃণমূলকে হারানোর লক্ষ্যে বিজেপিতে যোগ দিয়েও – তৃণমূলকে হারানো না যায়, তাহলে তাঁদের বিজেপিতে যোগদানই বিফল হয়ে যাবে। যদিও এই নিয়ে এখনই প্রকাশ্যে কেউই মুখ খুলছেন না। কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপির আদি শিবিরের নেতারা যে প্রশ্ন গুলো তুলছেন – টাকি সত্যিই গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিন্তায় রাখবে না?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!