এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জ্যামিতি এবং ত্রিকোণমিতির আবিষ্কার নিয়ে এবার মুখ খুলে বিতর্ক বাড়ালেন রাজ্যের বিজেপি সাংসদ

জ্যামিতি এবং ত্রিকোণমিতির আবিষ্কার নিয়ে এবার মুখ খুলে বিতর্ক বাড়ালেন রাজ্যের বিজেপি সাংসদ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নানা সময় অনেক রাজনীতিবিদকে বর্তমান সমাজের উপর নানা মন্তব্য করতে দেখা গেছে। যা তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। আর এবার জ্যামিতি এবং ত্রিকোণমিতি নিয়ে মন্তব্য করে রীতিমত বিতর্ক তৈরি করলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। বলাবাহুল্য, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্ব সংকটে রয়েছে। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। বাংলা প্রতিমুহূর্তে এই করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে।

আর এই পরিস্থিতিতে সেই করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের পরামর্শমত নদীয়া শান্তিপুরের নৃসিংহপুরের গঙ্গার পাড়ে একটি বিরাট যজ্ঞের আয়োজন করেছিল বিজেপি নেতা কর্মীরা। আর সেখানেই আহুতি দিতে আসেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয় প্রশ্ন। যেখানে সামাজিক দূরত্ব পালনের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে কেন শুধুমাত্র তন্ত্র-মন্ত্রের ওপর ভিত্তি করে জগন্নাথবাবু এই ধরণের অনুষ্ঠানে শামিল হলেন! এদিকে এই বিতর্ক তৈরি হতে না হতেই তাতে কান না দিয়ে ফের আরও একটি মন্তব্য করে রীতিমত বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ।

এদিন তিনি বলেন, “মুনি-ঋষিরা বিজ্ঞানভিত্তিক সবকিছু করতেন। যজ্ঞ করার আগে থেকেই পরবর্তীকালে জ্যামিতি এবং ত্রিকোণমিতির জন্ম। এটা বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয়। কুসংস্কার নয়। যজ্ঞের মাধ্যমে নীরবতা পালন করা হয়। নীরবতা পালন কংগ্রেস, সিপিএম সবাই করে। করোনা থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রার্থনার জন্য এই যজ্ঞের অনুষ্ঠান। চিনা সৈনিকদের হাতে ভারতের জওয়ান শহীদের আত্মার শান্তির উদ্দেশ্যে‌ও এই যজ্ঞের আয়োজন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু যেভাবে তিনি জ্যামিতি এবং ত্রিকোণমিতির আবিষ্কার নিয়ে অদ্ভুত এক তত্ত্ব দিলেন, তাতে রীতিমত তাজ্জব বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কেন এভাবে গণিতের বিষয়কে যজ্ঞের সঙ্গে তুলনা করলেন জগন্নাথবাবু! তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এদিন তিনি বলেন, “এখন অনেক বিজ্ঞানীকেই ডক্টরেট, ডিএসসি উপাধি দেওয়া হয়।

কিন্তু ভারতবর্ষের প্রাচীন মুনি-ঋষিরা প্রকৃত বিজ্ঞানী। আধুনিক বিজ্ঞানের যুগেও পুরনো রীতি নীতি নিয়ে চর্চা হচ্ছে। তাই প্রাচীন মুনি-ঋষিদের দেখানো পথেই এগিয়ে চলা উচিত।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাচীন যুগের অনেক মহৌষধ রয়েছে, যা সত্যিই বর্তমান সময়ে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু যেভাবে জ্যামিতি ও ত্রিকোণমিতিকে তুলে ধরে যজ্ঞের সঙ্গে তুলনা করলেন এবং তাঁর সৃষ্টি নিয়ে অদ্ভুত তত্ব দিলেন বিজেপি সাংসদ, তাতে বিতর্ক তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক।

সমালোচকদের বক্তব্য, জগন্নাথবাবু এই ধরনের কথা বলবেন এটাই স্বাভাবিক। কারণ তার দলের রাজ্য সভাপতি কিছুদিন আগে বলেছিলেন, গরুর দুধ থেকে সোনা তৈরি হয়। ফলে যে দলের প্রধান সেনাপতি এই ধরনের কথা বলেন, তার অনুগামীরা আরও অদ্ভুত অদ্ভুত কথা বলবেন এবং তা বাংলার মানুষকে শুনতে হবে, এটাতে আর অস্বাভাবিকতার কি আছে! সব মিলিয়ে এবার বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের অদ্ভুত তত্বে রীতিমত হতবাক গোটা বাংলা।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!