এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > ইন্টারভিউ নাকি মিরাক্কেল! হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে আধিকারিকেরা, প্রকট বাংলার শিক্ষাব্যাবস্থা !

ইন্টারভিউ নাকি মিরাক্কেল! হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে আধিকারিকেরা, প্রকট বাংলার শিক্ষাব্যাবস্থা !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য জুড়ে চলছে বন সহায়ক পদের ইন্টারভিউ। গত ৫ ই অক্টোবর থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের নিমতৌড়িতে বনদপ্তরের নবনির্মিত অফিসে এই ইন্টারভিউর কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ৪০০ জন আবেদনকারীকে ইন্টারভিউ তে যোগদান করতে বলা হচ্ছে ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে। তবে আসছেন প্রায় অর্ধেক জন। আর তাদের উত্তর শুনে বিস্মিত হচ্ছেন প্রশ্নকর্তারা।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বন সহায়ক পদের সংখ্যা মাত্র ১০। কিন্তু এই ১০ টি পদের জন্য আবেদন করেছেন ১৮ হাজার প্রার্থী। এতজন আবেদন করায় আপাতত দুমাস ধরে চালানো হবে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। পুজোর ছুটি বাতিল করেও ইন্টারভিউ হবার সম্ভাবনা আছে। যদিও এ ব্যাপারে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। প্রথমে প্রতিদিন ইন্টারভিউ নেওয়া হতো ২০০ জনের, এখন তা বেড়ে ৪০০ করা হয়েছে। পরবর্তী প্রতিদিন ৬০০ জনকে ডাকার সম্ভাবনা আছে। তখন সকাল, দুপুর, বিকেল তিন বেলাতেই ইন্টারভিউ নেওয়ার সম্ভাবনা আছে।

অষ্টম শ্রেণী পাস হলেই এই পদের জন্য আবেদন করা যায়। কিন্তু এখানে আবেদন করেছেন বেশ কিছু উচ্চশিক্ষিত। এখনো পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে আসা ৫০ জন যুবক যুবতী ইন্টারভিউ দিয়েছেন। কলা, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট, বিএড করে নেওয়া অসংখ্য প্রার্থী ইন্টারভিউ দিয়েছেন। অনেকে পদ সংখ্যা বাড়ানোর দাবি করেছেন। পদ সংখ্যা বাড়াতে বনমন্ত্রীকে পূর্ব মেদিনীপুরের বিভাগীয় বনদপ্তর আবেদন জানিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ডিএফও অনুপম খান জানিয়েছেন, ” আমি এবং এডিএফও দু’জনে দু’টি বোর্ডে ইন্টারভিউ নিচ্ছি। অনেক প্রার্থীর উত্তর শুনে বেশ মজা পাচ্ছি। তবে, বেশ কয়েকজনের উত্তর তারিফ করার মতো। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ, এমএ, এমএসসি পাশ অনেকেই আবেদন করেছেন। আমরা পদের সংখ্যা বাড়ানোর আবেদন করেছি।”

প্রসঙ্গত বেশকিছু পরীক্ষার্থী ইন্টারভিউয়ের সময় এমন সমস্ত উত্তর দিয়েছেন যা শুনে হেসে লুটোপুটি খেতে হচ্ছে বন দপ্তরের অফিসারদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একজন পরীক্ষার্থীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, বাড়িতে যদি বিষধর সাপ ঢোকে তবে তিনি কী করবেন? এর উত্তরে তিনি জানালেন যে, মুখ দিয়ে হিস হিস আওয়াজ করবেন। আর তাতে কাজ না হলে লাঠি দিয়ে সাপ মেরে ফেলবেন। একথা শুনে প্রশ্নকর্তা তাকে প্রশ্ন করেন যে, বন দপ্তরের খবর না দিয়ে তিনি সাপটিকে মেরে ফেলবেন কেন? এর উত্তরে তিনি জানালেন যে, বন দপ্তরে খবর দিতে দিতে ততক্ষণে সাপ তাদের যমের দুয়ারে পৌঁছে দেবে।

একজন পরীক্ষার্থীর কাছে দুটি বন্য প্রাণীর নাম জানতে চাওয়া হয়েছিল। এর উত্তরে তিনি জানিয়েছেন গরুও মোষ। বিস্মিত প্রশ্নকর্তা জানিয়েছেন, গরু, মোষ কি বন্য প্রাণী? এর উত্তরে পরীক্ষার্থী জানান, ” আচ্ছা, বন্যপ্রাণী? তাহলে বন্য গোরু ও বন্য মোষ।” তিনি পরীক্ষার্থীকে জানান যে, বন্য গোরু, বন্য মোষ বলে কোন প্রাণী আছে? এর উত্তর পরীক্ষার্থী বক্তব্য, ” কেন স্যার, বনে-বাদাড়ে ঘুরে বেড়ানো গোরু-মোষকে আমরা বন্য বলতে পারি না?

আবার এক পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, সুন্দরবন কোথায় আছে? তিনি উত্তর দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর। তাঁর ভুল ধরিয়ে দিলে, পরীক্ষর্থী ৪ টি জেলার নাম বলেন। এর মধ্যে কোন জেলায় সুন্দরবন আছে, তা তার মনে পড়ছে না।

আবার বিজ্ঞান বিভাগে পড়া এক পরীক্ষার্থীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, ১/২ নাকি ০.৫ কোনটি বড়? উত্তর আসে, ” ০.৫ এর থেকে কিছুটা বড় ১/২।”

এভাবেই গত দুসপ্তাহ ধরে ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলেন বন দপ্তরের অফিসাররা। অনেক পরীক্ষার্থীর উত্তর শুনে তারা হেসেছেন, আবার কোনো কোনো পরীক্ষার্থীর উত্তর শুনে তাঁরা মুগ্ধও হয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!