প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলার বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি একের পর এক ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে চলেছে রাজ্যে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তার সাথে শাসক-বিরোধী উভয়ের কটাক্ষ প্রতি কটাক্ষের ধারও বাড়ছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনা নিয়ে গেরুয়া শিবির তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ শুরু করেছে- তার মধ্যে অন্যতম হলো মনীশ শুক্লর হত্যা।

এদিন নতুন করে আবারও গেরুয়া শিবিরে উত্তেজনা দেখা যায়। আর তার কারণ হল, ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের উপর দুষ্কৃতী আক্রমণ। আর এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। প্রসঙ্গত, দলীয় সভায় যাওয়ার পথে বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য মঙ্গলবার বিকেলে ডায়মন্ডহারবারের দিকে কিছু দুষ্কৃতীর মুখোমুখি হন। দুষ্কৃতীরা গাড়ি থেকে শমীক ভট্টাচার্যকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে জানা গেছে।

একই সাথে বিজেপির আরও দুতিনজন নেতা ছিলেন শমীকের সাথে, তাঁদেরকেও আঘাত করা হয়। এই ঘটনার কথা সামনে আসতেই সৌমিত্র খাঁ এদিন রাজ্যে 356 ধারা প্রয়োগের সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেন। একই সাথে তিনি ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোমরে দড়ি পড়াবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন। অন্যদিকে রাজ্য প্রশাসনের পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। এদিন সৌমিত্র খাঁ আত্মবিশ্বাসী হয়ে নবান্নে ছ মাস পরে বিজেপি সরকার আসবে বলে মন্তব্য করেন।

এবং ছমাস পরে রাজত্বে এসে বিজেপি যে কড়ায়-গণ্ডায় প্রতিশোধ নেবে সে কথাও জানান তিনি। এর আগে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ পুলিশের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে তাঁদের স্ত্রী সন্তানদের টেনে আনেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা হয়েছিল ভালোই। এ দিন আবারও একইভাবে পুলিশ অফিসারদের নিয়ে মন্তব্য করলেন সৌমিত্র খাঁ। অন্যদিকে শমীক ভট্টাচার্যের ওপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই ঘটনায় তিনি সরাসরি তৃণমুলকেই দায়ী করেছেন।

অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য কোনো রকম প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে স্থানীয় নেতারা এই ঘটনার দায় নিতে রীতিমতো অস্বীকার করেছেন। শমীক ভট্টাচার্যের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তুমুল চাঞ্চল্য। অন্যদিকে শমীক ভট্টাচার্য অভিযোগ করেছেন, পুলিশের কাছে তিনি এদিনের ঘটনা নিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁর অভিযোগ পুলিশ গ্রহণ করেনি। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ঘটনার দায় অস্বীকার করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনা নিয়ে আগামী বেশ কিছুদিন রাজনৈতিক মহল যে সরগরম থাকবে, সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ থাকা যায়।