এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > দিলীপ নয় বাংলায় বিজেপির সাফল্যের জন্য বড় ভাই মুকুলদাকে চাই, সরব মোদী-শাহ ঘনিষ্ঠ সাংসদ!

দিলীপ নয় বাংলায় বিজেপির সাফল্যের জন্য বড় ভাই মুকুলদাকে চাই, সরব মোদী-শাহ ঘনিষ্ঠ সাংসদ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে বিজেপিতে নীরবে নিভৃতে কাজ করে গিয়েছেন মুকুল রায়। বিভিন্ন সময় তাকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দেওয়া হবে বলেও সেরকম কোনো দায়িত্ব পাননি তিনি। লোকসভা নির্বাচনে তার কৌশলে বিজেপি বাংলায় 18 টি আসন দখল করেছে। শুধু তাই নয়, সেই মুকুল রায়ের হাত ধরে ভারতীয় জনতা পার্টিতে তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা, বিধায়ক যোগদান করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই বাংলায় বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোতে শুরু করেছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত প্রতিপক্ষ যেখানে রয়েছে, সেখানে বিজেপির পক্ষ থেকে যদি শক্তিশালী কোনো মুখকে সামনে দাঁড় করিয়ে না রাখা যায়, তাহলে তৃণমূলকে পরাজিত করা কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছে বিজেপির একাংশ।

দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা তৈরি হয়েছে, কে হবেন 2021 এ বঙ্গ বিজেপির মুখ? এক্ষেত্রে মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ সহ একাধিক নেতা থেকে শুরু করে সমাজের বিশিষ্ট জনের নাম সামনের সারিতে উঠে আসতে শুরু করেছিল। তবে এবার কার্যত জল্পনা বাড়িয়ে মুকুল রায়ের কৃতিত্ব অনেক বেশি বলে দাবি করলেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। স্বাভাবিক ভাবেই স্বপনবাবুর মত বিচক্ষণ ব্যক্তিত্বের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এবার ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরমহলে।

সূত্রের খবর, এদিন স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, “মুকুল রায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয় জুটি আমাদের সাফল্যের মুখ দেখিয়েছেন। দেখিয়ে দিয়েছেন, কি করে 2 থেকে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে 18 করা যায়। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুকুল রায় তার যোগ্য সম্মান পেয়েছেন। তাকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হয়েছে। বিজেপি একটা প্রতিষ্ঠিত পার্টি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এখনও ছোট পার্টি। এই ছোট পার্টিকে প্রতিষ্ঠা করতে মুকুলদাকে চাই। মুকুলদাই পারেন, বিজেপিকে বাংলায় প্রতিষ্ঠিত করতে। আর চাই কৈলাসজিকে। বিজেপিকে বাংলায় সঠিক দিশা দেখাবে মুকুল-কৈলাস জুটি।” তবে স্বপন দাশগুপ্ত একথা বললেও, তার এই মন্তব্য নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরমহলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সেখানে দিলীপবাবুর কথা না বলে কেন হঠাৎ করে মুকুল রায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়র দ্বারাই বাংলায় বিজেপি সাফল্য পাবে বলে মন্তব্য করে বসলেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ এই বিজেপি সাংসদ? অনেকে বলছেন, স্বপন দাশগুপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অন্যতম বিশ্বাসযোগ্য একটি মুখ। ফলে তাঁর মুখ থেকে যখন মুকুল রায়কে নিয়ে এত প্রশস্তি শোনা যাচ্ছে, তখন মুকুলবাবু যে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষের নাম স্বপন দাশগুপ্ত নিজের মুখে না আনায় তাহলে কি দিলীপবাবু কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছেন! তা নিয়ে নানা মহলে জল্পনা তৈরি হতে শুরু করেছে।

অনেকে আবার বলছেন, স্বপন দাশগুপ্তর এই মন্তব্যের ফলে বঙ্গ বিজেপিতে ফাটল ধরতে পারে। কেননা মুকুল রায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয় বলে বিজেপির অন্দরমহলে কান পাতলেই শোনা যায়। সম্প্রতিককালে সেই মুকুল রায় বিজেপি সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার পর তার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হলেও সেখানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেছে দিলীপ ঘোষকে। যার ফলে তার সঙ্গে মুকুল রায়ের সম্পর্কের যে ক্রমশ অবনতি ঘটতে শুরু করেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

আর এরই মাঝে বাংলায় বিজেপির প্রতিষ্ঠা নিয়ে যেভাবে মুকুল রায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়র প্রশংসায় পঞ্চমুখ নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, তাতে দিলীপ ঘোষ অনেকটাই ব্যাকফুটে পড়ে গেলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে স্বপন দাশগুপ্তর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ এবং তার অনুগামীরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন কিনা, সেদিকে অবশ্যই নজর থাকবে সকলের। তবে যদি সেদিকেই এগোয় পরিস্থিতি, তাহলে আগামী দিনে নির্বাচনের সম্মুখীন হতে গিয়ে বিজেপির অন্তর্কোন্দল সবথেকে বড় কাটা হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!