ক্ষমতায় না এসেই এই ক্ষমতায় এলে কি হবে? বিজেপির সভ সভাপতির মন্তব্যে উঠছে প্রশ্ন ! তৃণমূল বিজেপি মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য October 14, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের এখনও অনেকটা সময় দেরি আছে। কিন্তু তার আগে যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতাদের বক্তব্য থেকে প্রতিহিংসার রাজনীতির কথা শোনা যাচ্ছে, তা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। বিভিন্ন সময় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। আর এবার তৃণমূল নেতাদের খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীকে। যে ঘটনার জেরে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলা জুড়ে। ক্ষমতায় আসার আগেই যদি বিজেপি নেতারা এইভাবে বক্তব্য পেশ করতে শুরু করেন, তাহলে ক্ষমতায় আসার পর তারা ঠিক কি করবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ। প্রসঙ্গত, রবিবার দলীয় কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির দক্ষিণের সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষের বাড়িতে বোমা মারা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি টিটাগড়ের বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় বর্তমানে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। আর একের পর এক বিজেপি নেতা ও কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীকে। এদিন তিনি বলেন, “কেরলে একসময় বিজেপি- আরএসএস কর্মীদের গাড়িতে আক্রমণ এবং হত্যা করা শুরু করেছিল সিপিএম। তখন সেখানে সংঘের স্বয়ংসেবকরা একের বদলে চার হবে বলে ঠিক করেছিলেন। এই রাজ্যেও আমাদের উপর আক্রমণ চললে একের বদলে চার হবে। সেই চারে জেলা এবং রাজ্য নেতাদের বেছে নেব আমরা। তৃনমূল সামলাতে পারলে সামলাবে।” আর একজন বিজেপি নেতার এই ধরনের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এবার তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বলছেন, বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী এই কথার মধ্যে দিয়ে বদলা নেওয়ার বিষয়টি বোঝাতে চেয়েছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - স্বভাবতই বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী এহেন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এবার বিজেপির কড়া নিন্দা করতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি গুন্ডামি করছে। তারপরও প্ররোচনা এবং পরিকল্পনা চলছে রাজভবনে। তবে এটা বাংলা। এখানে প্রতিরোধ হবে।” একইভাবে এই বিজেপি নেতার মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেছেন সিপিএম এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিধানসভার কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, “বিজেপি নেতার হুমকি নিন্দনীয়। কিন্তু বিজেপি এবং তৃণমূল দুটো দলই লুম্পেনদের নিয়ে খুনোখুনি, হুমকি এসবের উপর চলে।” এদিকে এই ব্যাপারে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী বলেন, “গণতন্ত্রে সকলের কথা বলার অধিকার আছে। কিন্তু এমন হুমকি বা গুন্ডামি মানা যায় না।” বিশেষজ্ঞদের মতে, কারা ক্ষমতায় আসবে, তা ভবিষ্যতের ব্যাপার। কিন্তু তার আগেই যেভাবে বাংলার শাসক থেকে বিরোধী দলের নেতারা একে অপরকে উদ্দেশ্য করে বিতর্কিত মন্তব্য করছেন, তা সত্যিই তাদের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করতে শুরু করেছে। এবার বিজেপির বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী যেভাবে বিতর্কিত মন্তব্য করে বদলা নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন, তাতে বিজেপি যে অনেকটাই চাপে পড়ে গেল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -