এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বন্যা সামলাতে পারেন না, এদিকে রাজ্যপালের চেষ্টাকে অপমান! মমতার অপদার্থ মন্ত্রীকে খোঁচা বিজেপির!

বন্যা সামলাতে পারেন না, এদিকে রাজ্যপালের চেষ্টাকে অপমান! মমতার অপদার্থ মন্ত্রীকে খোঁচা বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে যখন দুর্যোগের ভ্রুকুটি দেখা দিয়েছিল, তখন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার দাবিতে দিল্লি চলে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সকল মন্ত্রীরা। কিন্তু এখন তাদের হুশ ফিরেছে। যখন উত্তরবঙ্গে একের পর এক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে, তখন সেখানে দিল্লি থেকে পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী। তবে লোক দেখানোর জন্য নয়, মানবিকতার নিরিখেই সোজা দিল্লি থেকে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি দেখতে সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যপালও। কিন্তু এবার রাজ্যপালের সেই চেষ্টাকেও অপমান করতে ছাড়লেন না মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তার বক্তব্য, রাজ্যপাল নাকি ভয়ে রাজভবন থেকে পালিয়ে এসেছেন। কার ভয়? না, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের রাজভবন বিচারের ডাক দিয়েছেন। সেই কারণেই নাকি রাজ্যপাল রাজভবন ছেড়ে উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে এসেছেন। আর একজন মন্ত্রীর মুখ থেকে এই ধরনের আক্রমণ শুনে তাকে পাল্টা কটাক্ষ করছে বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, দিল্লি থেকে কলকাতায় না গিয়ে উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোজা দার্জিলিঙে পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যপাল। একাংশ বলছেন, এই দুর্যোগের সময় তো সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো চেষ্টা দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু সাংবিধানিক প্রধান অন্তত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দিকে সহানুভূতির হাতটুকু বাড়িয়ে দিলেন। তাই বড় বড় গলায় মন্ত্রী অনেক কথা বলতেই পারেন। রাজ্যপালকে আক্রমণ করতেই পারেন। কারণ তারা তো এই বন্যা আটকাতে ব্যর্থ, দুর্যোগ আটকাতে ব্যর্থ। তাই মন্ত্রীর মুখ থেকে রাজ্যপালকে করা আক্রমণ অবাক করছে না সমালোচক মহলকে। উল্টে তারা বলছেন, কে এই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে, তাকে ভয় পেয়ে রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গে পালিয়ে আসবেন! রাজ্যপাল মানবিকতার খাতিরে রাজ্যের মানুষকে এই ব্যর্থ সরকারের হাত থেকে বাঁচাতে নিজে পরিস্থিতির তদারকি করতেই উত্তরবঙ্গে এসেছেন কারও ভয়ে উত্তরবঙ্গে আসেননি।

বিরোধীদের দাবি, অপদার্থ মন্ত্রী তো এইরকম কথা বলবেন, সেটাই স্বাভাবিক। যখন বিপর্যয় কাছে ঘেষে আসছিল, তখন তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিল্লি গিয়ে সেখানে বড় বড় কথা বলেছিলেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু এখন রাজ্যের বন্যা দুর্গত মানুষদের ভয়াবহ অবস্থা, তাই রাজ্যপাল যখন বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাইছেন, তখন তাকেও খাটো করে দেখানোর চেষ্টায় সামিল হলেন রাজ্যের এই মন্ত্রী। আসলে তাকে তো অভিষেকবাবুর কাছে হিরো হতে হবে। তাই এই ধরনের আক্রমণ করে রাজ্যপালকে ছোট করে টিকে থাকার চেষ্টা পার্থবাবুর বলেই কটাক্ষ বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তাকে কোনো দলের দয়ায় এখানে থাকতে হয় না। তিনি কি করবেন না করবেন, সেটাও কি মন্ত্রী মহোদয় ঠিক করে দেবেন? মন্ত্রী অন্তত নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে আগে অবহিত হন। তারপরে রাজ্যপালকে নিয়ে এত বড় কথা বলবেন। রাজ্যপাল যখন মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, তখন তাকে ছোট করার কাজটা না করলেই ভালো হত। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল যাচ্ছে রাজভবনে। তারা যাবেন, সেখানে গিয়ে তাদের চিঠিপত্র যা রয়েছে, তারা সেটা জমা দেবেন। রাজ্যপাল যখন যাবেন, তখন সেটা নিশ্চয়ই দেখে নেবেন। তবে রাজ্যপাল ভয় পেয়ে উত্তরবঙ্গে এসেছেন বলে যে কথা রাজ্যের সেচমন্ত্রী বললেন, তা দুর্ভাগ্য জনক ছাড়া আর কিছুই নয়। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!