বড় পরিবর্তন তৃণমূলে, তৈরি হতে পারে নতুন নিয়ম, শনিবারের বৈঠক ঘিরে চাপ বাড়ছে নেতাদের! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য June 2, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন অনেক জেলা থেকে যারা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন, তাদেরকে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া ছিল। অর্থাৎ একদিকে মন্ত্রী, অন্যদিকে দলের প্রধান হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন জেলায় ছড়ি ঘোরাতেন শাসকদলের বিভিন্ন নেতারা। স্বাভাবিক ভাবেই এক ব্যক্তি সংগঠন এবং মন্ত্রী পদে থাকার কারণে দলের অনেকেই তাকে খুব একটা ভালো চোখে মেনে নিতে পারছিলেন না। আর তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই এবার সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই পরিস্থিতিতে এক ব্যক্তি এক নেতা, এক পদ চালু হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসে বলে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে। মূলত, আগামী শনিবার তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম সমস্ত জেলার পদাধিকারী সহ গুরুত্বপূর্ণ নেতা, সাংসদ এবং বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই বৈঠক থেকেই ব্যাপক রদবদল হতে পারে তৃণমূলের সংগঠনে বলে মনে করা হচ্ছে। যেখানে গুরুত্বপূর্ণ নেতা, সাংসদ এবং বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই বৈঠক থেকেই ব্যাপক রদবদল হতে পারে তৃণমূলের সংগঠনে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এবারের এই বৈঠক থেকে তৃণমূল ভবিষ্যতের জন্য তাদের দলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম নিয়ে আসতে পারে বলেও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, দলের যে কোনো একজন ব্যক্তি একটির বেশি পদে থাকতে পারবেন না। অর্থাৎ কেউ যদি মন্ত্রী হন, তাহলে তিনি থাকতে পারবেন না দলীয় কোনো পদে। অর্থাৎ সকলের ক্ষেত্রে সমান বন্টন প্রক্রিয়া করতে চলেছে ঘাসফুল শিবির বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বস্তুত, এবারে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করে প্রত্যাশার থেকে অনেক বেশি আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। 213 টি আসন দখল করে তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে ঘাসফুল শিবির। আর তারপরই 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। ইতিমধ্যেই টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী দিনে ভারতবর্ষের প্রধান মুখ বলে দাবি করা হচ্ছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। আর এই পরিস্থিতিতে সংগঠনকে আরও বেশি চনমনে করে তুলতে শনিবারের বৈঠক থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে খবর। মূলত এবারে এমন অনেকে মন্ত্রী হয়েছেন, যারা সেই সমস্ত জেলার তৃণমূলের সংগঠনের শীর্ষ পদে রয়েছেন। তাই মন্ত্রী থাকা ব্যক্তিদের জেলার সংগঠনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে সেখানে নতুন কাউকে দায়িত্বে বসানো হতে পারে। যার জেরে বেশ কিছু নামকে কেন্দ্র করে এখন জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শুধু তাই নয়, ক্ষমতায় আসার পরই ভোটের আগে যারা বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন, তারা আবার দলে যোগ দিতে চেয়ে আবেদন করছেন। ফলে শনিবারের বৈঠক থেকে দলে যোগ দিতে চাও আর সেই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রথম এবং দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিকমত সংগঠনে নজর দিতে পারেননি। প্রশাসনিক কাজে বেশি ব্যস্ত থাকার কারণে সংগঠনে নজর না দেওয়ার জন্য অনেকটাই যে ক্ষতি হয়েছে, তা 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পরে নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর দলকে এবার বেশি করে সময় দিতে চান তৃণমূল নেত্রী। আর সেই কারণেই করোনা পরিস্থিতিতে ভার্চুয়ালি নয়, বরঞ্চ সামনাসামনি বিভিন্ন জেলার নেতা, মন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীদের তৃণমূল ভবনে ডেকে সামনাসামনি বৈঠক করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই বৈঠক থেকে সবথেকে বেশি যে সিদ্ধান্তকে ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তা হল, এক নেতা এক পদ। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি মন্ত্রী এবং দলের দায়িত্ব সামলালে তার সম্পর্কে জেলার অনেক নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ছেন, এমন নজির অতীতে দেখা গিয়েছে। তাই ভবিষ্যতে যাতে এমন না হয়, তার জন্য কাউকে প্রশাসনিক দায়িত্ব, আবার কাউকে বা দলীয় স্তরে দায়িত্ব দিয়ে সকলকে খুশি রাখার রাস্তা বেছে নিতে উদ্যত হয়েছে ঘাসফুল শিবির। স্বাভাবিক ভাবেই সংগঠনকে সাজানোর ক্ষেত্রে তৃণমূলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের কাছে আগামী শনিবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত এই ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -