এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > যত কান্ড বাঁকুড়ায়! বিধায়ক ভাঙ্গানো, দুর্নীতি নিয়ে তুলকালাম সোনামুখীতে

যত কান্ড বাঁকুড়ায়! বিধায়ক ভাঙ্গানো, দুর্নীতি নিয়ে তুলকালাম সোনামুখীতে


পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিতর্ক কিছুতেই বাঁকুড়া সিপিএমের পিছু ছাড়তে চাইছে না। এবার অজিতবাবুর এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকার অপব্যবহার নিয়ে খোদ জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই সোনামুখীর বিধায়ক অজিত রায়কে তৃণমূলে পাঠানোর চেষ্টার অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কৃত হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আর এবার একটি এনজিওকে দিয়ে তহবিলের টাকার অপব্যবহার হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সুব্রতবাবু ঘটনার তদন্তের দাবি করেছেন খোদ জেলা শাসকের কাছে। বাঁকুড়ার জেলাশাসক মৌমিতা গোদারাবসু জানিয়েছেন, আমরা জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ পেয়েছি। এব্যাপারে সোনামুখীর বিডিওকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিডিও রিজওয়ান আহমেদ বলেন, ব্লকের ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে অভিযোগের তদন্ত করানো হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, মূলত বিধায়করা সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভিন্ন প্রকল্পের প্রস্তাব প্রশাসনের কাছে জমা দেন। সেই সব প্রস্তাবিত প্রকল্প প্রশাসনিক আধিকারিকরা খতিয়ে দেখে প্রশাসন এলাকার উন্নয়নের জন্য বছরে মোট ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন। ওই ৬০ লক্ষ টাকার মধ্যে ৮ লক্ষ টাকা প্রত্যেক আর্থিক বছরে বিধায়করা তাদের মনোনীত এনজিওর মাধ্যমে খরচ করতে পারেন।
সুব্রতবাবু অভিযোগ তুলেছেন সংশ্লিষ্ট এনজিওর মাধ্যমে করা গ্রামের ৮টি সাবমার্সিবল সম্পর্কে। সেগুলি পিয়ারবেড়া, বড়চাতরা, বাঁধডোবা, চূরামণিপুর, বাড়ুইবেড়া, কুণ্ডুপুষ্করিণী এবং সাহেবগঞ্জ গ্রামে বসানো হয়েছে বলে বিধায়ক অজিতবাবু জানিয়েছেন। সুব্রতবাবু বলেন, দক্ষিণ অংশের খরা প্রবণ এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি যেখানে মোটামুটি ৬০-৭০ হাজার টাকায় গভীর নলকূপ বসাচ্ছে সেখানে ওই এনজিও দামোদর নদ সংলগ্ন এলাকায় কেনও ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা খরচ দেখাচ্ছে তা নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলেছি। তিনি ইঞ্জিনিয়ারদের ৮টি সাবমার্সিবল পরীক্ষা করার অনুরোধ জানান।
এদিকে অজিতবাবু বলেন, যে তারা শুধুমাত্র প্রকল্পের প্রস্তাব এবং এনজিওর নামের সুপারিশ করেন। তারপর সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের দায়িত্ব ওইসব প্রকল্প রূপায়ণের সময় নজরদারি এবং সম্পূর্ণ হওয়ার পর চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করা। তিনি আরো জানান, যে সুব্রতবাবু হতাশার জেরে এই সব ভিত্তিহীন অভিযোগ করে বেড়াচ্ছেন। সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি বলেন, এই ঘটনা সংগঠনের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। কোনও প্রকল্পের ব্যাপারে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ জানালে দলীয়ভাবেও আমরা তার তদন্ত করি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!