এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুকে আটকাতেই এত কোটি অপচয়! বঞ্চিতদের দিকে কবে তাকাবেন মমতা? প্রবল চাপে নবান্ন!

শুভেন্দুকে আটকাতেই এত কোটি অপচয়! বঞ্চিতদের দিকে কবে তাকাবেন মমতা? প্রবল চাপে নবান্ন!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের শাসক দলের নাকি ভাড়ার শূন্য! রাজ্য সরকার নাকি ডিএ দিতে পারছে না, পেনশন দিতে পারছে না, এরকম নানা কথা শোনা যাচ্ছে নবান্নের তরফে। রাস্তায় বসে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সরকারি কর্মচারীরা। তাদেরকে সহানুভূতি দেওয়া তো দূরের কথা, বরঞ্চ ডিএ চাইলেই “ঘেউ ঘেউ করবেন না” বলে মন্তব্য করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু যে রাজ্য সরকারের ভাড়ার শূন্য, যারা সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিতে বার বার ঢোক গিলছেন, তারা রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে আটকাতে এখনও পর্যন্ত খরচ করেছেন 295 কোটি টাকা। এদিন আবারও সেই ভয়ংকর তথ্য সকলের সামনে তুলে ধরলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর এই তথ্যকে অস্বীকার করার মত ক্ষমতা সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের রয়েছে কি? সেই প্রশ্নই মাথাচাড়া দিচ্ছে সকলের মধ্যে।

প্রসঙ্গত, এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাকে বিভিন্ন কেস দিয়ে আটকে দেওয়া এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে যে আইনজীবীর খরচ, তা বহন করতে সরকারের কত খরচা হয়েছে, তা নিয়ে তথ্য তুলে ধরেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত আমাকে আটকানোর জন্য এবং আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর জন্য এই রাজ্য সরকার খরচ করেছে 295 কোটি টাকা। তাহলে আপনি এই সমস্ত কিছু কেন খরচ করছেন? আপনার যখন টাকা নেই, আপনি যখন ডিএ দিতে পারছেন না, তখন এই ধরনের খরচ কেন?” একাংশ বলছেন, খুব যুক্তিসঙ্গত একটি প্রশ্ন করেছেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা। সত্যিই যদি তাকে আটকানোর জন্য রাজ্য সরকার নিজের কোষাগার থেকে এত খরচ করে, তাহলে কেন এই নাকে কান্নার নাটক করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? কেন আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে নিজের দলকে দিল্লিতে পাঠাচ্ছেন তিনি! তার সরকারের নাকি টাকা নেই, অথচ বিরোধী দলনেতাকে আটকানোর জন্য তার কণ্ঠরোধ করার জন্য এত বিপুল অর্থ খরচ? সত্যিই কি কোনো গণতান্ত্রিক রাজ্যে এই জিনিস মানা যায়?

বিরোধীদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী আর যাই হোক, সেটিং করা বিরোধী দলনেতা নন। আগেকার বিরোধী দলনেতাদের সঙ্গে যে করেই হোক, সেটিং করে নিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী অন্য ধাতু দিয়ে তৈরি‌। তাকে কোনভাবেই আটকানো যাচ্ছে না। তাই শেষ পর্যন্ত মামলা দিয়ে তাকে আটকে দাও। কিন্তু সেখানেও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে রাজ্য সরকার। যার ফলে বৃথা সরকারি কোষাগার থেকে এত কোটি কোটি টাকা নষ্ট করে রাজ্যের মানুষকে আরও পঙ্গু করে দিচ্ছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। শুভেন্দু অধিকারী সেই কথাই তুলে ধরেছেন। তবে রাজ্য সরকারের যদি হিম্মৎ থাকে, তাহলে তারা বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে মামলা করুক। আদালতে গিয়ে তারা প্রমাণ করুক যে, শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা কুৎসা করছেন। কিন্তু তা করার হিম্মত তাদের রয়েছে কি? সেই প্রশ্নও তুলছে বিরোধী শিবির।

পর্যবেক্ষকদের মতে, গোটা রাজ্যজুড়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে কান্না, হাহাকারের আওয়াজ। কিন্তু সেদিকে নজর দেওয়ার মতো সময় নেই মুখ্যমন্ত্রীর। কিছুদিন আগেই তিনি শিল্প আনার নাম করে বিদেশ থেকে সফর করে এলেন। আসার পর রাজ্যবাসী এটা আশা করেছিলেন যে, তিনি অন্তত জানাবেন যে, কতগুলো শিল্প রাজ্যে এলো। কিন্তু তারপর থেকে মুখ্যমন্ত্রী হাওয়া হয়ে গিয়েছেন। খবর পাওয়া যাচ্ছে, তার নাকি পায়ে চোট লেগেছে। যাই হোক, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এটাই রাজ্যবাসীর প্রার্থনা। কিন্তু সুস্থ হয়ে উঠে এবার অন্তত রাজ্যের বঞ্চিত সরকারি কর্মচারী, আশা কর্মী, ভিলেজ পুলিশ, এদের কান্না মোছানোর চেষ্টা করুন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বিরোধী দলনেতাকে আটকাতে আপনি এমনিও পারবেন। রাজনৈতিকভাবে আটকান। এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ান, তাহলেই সাধারণ মানুষ আপনাকে সমর্থন করবেন। আর তাতেই তো বিরোধীরা আপনার কথায় ফিনিশ হয়ে যাবে। তার জন্য বিরোধী দলনেতাকে জব্দ করার নামে এই কারি কারি অর্থ খরচ করার কোনো প্রয়োজন কি রয়েছে? দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!