এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ট্রেন না পেয়ে বৃথা নাকে কান্না! এত অর্থ কোথায় রাখবে তৃনমূল? মোক্ষম চাপে অভিষেক!

ট্রেন না পেয়ে বৃথা নাকে কান্না! এত অর্থ কোথায় রাখবে তৃনমূল? মোক্ষম চাপে অভিষেক!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বাংলায় একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনা নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিল্লি যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তাদের ট্রেন নাকি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে! এই অভিযোগে তৃণমূলের যুবরাজ “নরেন্দ্র মোদী ভয় পাচ্ছেন” এইরকম নানা মন্তব্য করেছেন। কিন্তু জনতা তা কতটা গ্রহণ করেছে, তা ভোট বাক্সে ভালোভাবেই টের পাবে তৃনমূল কংগ্রেস। তবে ট্রেন বাতিল হওয়ার পর এবার বাসে করে কর্মীদের দিল্লি পাঠাচ্ছে বাংলার শাসক দল। কিন্তু যাদের এত টাকা, তারা কেন চার্টার্ড ফ্লাইট করে কর্মীদের দিল্লি নিয়ে যাচ্ছেন না! এত অর্থ কোথায় রাখবে তৃণমূল নেতৃত্ব? এই প্রশ্ন আমরা তুলছি না। এই প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার দাবি, ডিয়ার লটারি থেকেই প্রায় 300 কোটি টাকা আসছে তৃণমূলের পকেটে। সেই টাকা দিয়েই তো তারা চার্টার্ড ফ্লাইট করে কর্মীদের দিল্লি নিয়ে যেতে পারে। ট্রেন বাতিল হলেও তাদের কোনো সমস্যা নেই। এই সমস্ত ট্রেন বাতিল করে তৃণমূলকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনো প্রয়োজন রেল কর্তৃপক্ষের নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দুবাবু।

প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লি যাওয়ার জন্য তৃণমূল যে ট্রেন বুক করেছিল, তা বাতিল হওয়া নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “এরা কারা যে, এদের জন্য ট্রেন বাতিল হবে! ট্রেন বাতিল হয়েছে, কোচ নেই, তাই বাতিল করা হয়েছে। এদেরকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। কিন্তু তৃণমূলের তো অসুবিধা থাকার কথা নয়। ডিয়ার লটারির 300 কোটি টাকা যাচ্ছে, মদের বোতলের টাকা যাচ্ছে। সেই টাকা নিয়েই তো তারা চার্টার্ড ফ্লাইট করে আকাশে ওঠানামা করতে পারে।” বলা বাহুল্য, এই প্রথম নয়। এর আগেও প্রত্যেকটি জনসভা থেকে এই ডিয়ার লটারি, মদের বোতলের অর্থ তৃণমূল নেতাদের পকেটে যাচ্ছে বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর এবার তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা ইস্যুতে সুযোগ পেয়ে আরও একবার শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

বলা বাহুল্য, দিল্লি যাওয়ার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিশেষ ট্রেন বুক করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই ট্রেনের কোচ দিতে না পারার কারণে রেল কর্তৃপক্ষ তা বাতিল করেছে। আর তা নিয়ে তৃণমূল কতই না নাকে কান্না কেঁদেছে। তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি ভয় পেয়েছে! তাই এই ট্রেন প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেরকম যে কোনো বিষয় নেই, তা স্পষ্ট। তবে শুভেন্দু অধিকারী এদিন যে মোক্ষম বানটা তৃণমূলের উদ্দেশ্যে ছুড়ে দিলেন, তাতে তৃণমূল আর প্রতিক্রিয়া দেওয়ার জায়গাতে নেই বলেই দাবি বিরোধীদের। তাদের বক্তব্য তৃণমূলের প্রচুর টাকা। যারা নিজেদের গরিবের দল বলে দাবি করে, তারা 50 টির বেশি বাস দিল্লিতে নিয়ে যেতে পারলো। কিন্তু চোখে লাগার কারণে ফ্লাইট করতে পারল না। তবে নেতারা সেই ফ্লাইট বুক করে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে শুরু করেছেন। তাই শুভেন্দু অধিকারী যে বিষয়টা ধরে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং জনতার মনে এই বিষয়টি যে তৃণমূল সম্পর্কে চেপে বসেছে, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা অনেক বড় বড় কথা বলছেন। বাংলা নাকি বঞ্চনার শিকার! কিন্তু সেই বাংলার তৃণমূল কর্মীদের দিল্লি নিয়ে যেতে তাদের টাকার অভাব নেই। নেতাজি ইনডোরে রান্নার ব্যবস্থা চলছে। তাতে খরচ হচ্ছে। এখান থেকে 50 টির বেশি বাস দিল্লিতে যাচ্ছে। সেখানে বিপুল অর্থ খরচ হচ্ছে। কিন্তু সেদিকে কোনো নজর নেই তৃণমূল কংগ্রেসের। তারা বারবার বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলছেন। কিন্তু তাদের মুখে এই প্রতিহিংসা সত্যিই মানায় না। যারা বাংলায় বিজেপি কর্মীদের সভা করতে দেয় না, শেষ মুহূর্তে এসে তাদের স্বভাব বাতিল করে, তারা কি করে এই কথা বলছেন! সেই প্রশ্ন উঠছে। আর এসবের মাঝেই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের ট্রেন বাতিলের নাকি কান্না নিয়ে তাদের তুলোধোনা করলেন। স্পষ্ট করে দিলেন, তৃণমূলের টাকার অভাব নেই। তাই তারা ফ্লাইট করে কর্মীদের নিয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। আর শাসকদলের এই বিপুল অর্থ নিয়ে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য যে তৃণমূলের যুবরাজকে প্রবল চাপের মুখে ফেলে দিল, সেই ব্যাপারে দ্বিমত নেই সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!