এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > ইডিকে দুর্বল ভাবলে ভুল হবে, এবার কি ঘুম উড়বে মমতার? বিরাট তথ্য ফাঁস!

ইডিকে দুর্বল ভাবলে ভুল হবে, এবার কি ঘুম উড়বে মমতার? বিরাট তথ্য ফাঁস!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক দুর্নীতি এবং কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে বারবার আদালতে থেকে শুরু করে সিবিআইয়ের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়ছে। ইতিমধ্যেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা ইডির আধিকারিক মিথিলেশ মিশ্রকে সরিয়ে দিয়েছেন। যার ফলে আরও স্পষ্ট হয়েছে যে, ইডি এই দুর্নীতি চোখের সামনে দেখা সত্বেও, কোনো পদক্ষেপ নিতে কার্যত অপারগ। অনেকে আবার এই বিষয়ে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির সেটিং রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন। আর এসবের মাঝেই ইডিকে যারা দুর্বল ভাবছেন, তারা যে সত্যিই ভুল করছেন, আগামী দিনে যে এই ইডির পদক্ষেপ ঘুম উড়িয়ে দেবে দুর্নীতিকারীদের, তা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। যেভাবে আদালত নিয়োগ দুর্নীতির রহস্য ফাঁস করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন, তাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার বড় রাস্তায় হাঁটা ছাড়া কোনো গতি নেই।

প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে যখন বিচারপতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তখন সকলের মধ্যেই এই প্রশ্ন প্রকট হচ্ছে যে, তাহলে কি এই নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন তদন্তের জন্য ইডির উপর ভরসা করে আখেরে ক্ষতিটাই হলো! লাভের লাভ কি কিছুই হবে না! কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আশার বাণী শুনিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, ইডিকে দুর্বল ভাবলে ভুল হবে। যদি এর আগে গোটা ভারতবর্ষে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যারা দেশের টাকা নিয়ে বাইরে চলে গিয়েছিল, তাদের টাকা ফেরত করিয়েছে। বহু কাজে ইডির সাফল্য প্রমাণিত। তাই এক্ষেত্রেও ইডি আদালতের নির্দেশে কাজ করবে। অর্থাৎ রাজ্যের যারা সাধারণ মানুষ, যারা অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আর ডাকাডাকি করবে না। এবার তারা রাঘববোয়ালকে হেফাজতে নেবে। তারা শুভেন্দু অধিকারীর এই কথায় একটু হলেও নিভে যাওয়া প্রদীপের সলতেতে আবার আগুনের ঝলকা দেখতে পাচ্ছেন।

একাংশের মতে, এ কথা সত্যি যে বিরোধীরাও এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। বিজেপির অনেক নেতাও কার্যত চাপে পড়ে গিয়েছেন। তাদের মুখে এখন আর কথা নেই। কারণ বারবার তৃণমূলের এক সর্বভারতীয় নেতাকে শুধুমাত্র ডাকা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন তাকে এত হালকা ভাবে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা! সেই প্রশ্ন আদালতের পক্ষ থেকেও তোলা হয়েছে। তাই বিজেপির একাংশ আবার এই নিয়োগ দুর্নীতির রহস্য ভেদ করতে আদালতের চেষ্টাকেই সাধুবাদ জানাচ্ছেন। তবে ইডি, সিবিআই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে আখেরে ক্ষতি হবে রাজ্য বিজেপির। তাই শুভেন্দু অধিকারীর মত পরিপক্ক নেতা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইডির কি কি সাফল্য রয়েছে, তা তুলে ধরে এটাও বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে, যদি দুর্নীতি হয়, তাহলে কেউ রেহাই পাবে না ইডির হাত থেকে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীও কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পদক্ষেপে যে খুশি নয়, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাই এখন কি তিনি ইডির সাফল্যের কথা তুলে ধরে নিজের বক্তব্যের ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করলেন? কারণ এটাতো অত্যন্ত সত্যি কথা যে, ইডি, সিবিআই যে দপ্তর থেকে পরিচালিত হয়, তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত নিয়ে যদি বিজেপির কোনো নেতা মুখ খোলেন, তাহলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে তাদের ধমকের মুখে পড়তে হতে পারে। তাই মানুষের কথা বলেও, আদালতের ওপরেই সবটা ছাড়লেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পাশাপাশি সাধারণের মনে এই বিশ্বাস দিতেও সচেষ্ট হলেন যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে হালকা ভাবে নিলে ভুল হবে। হয়তো এখন তারা ঢিলে গতিতে তাদের তদন্ত করছে। কিন্তু এমন সময় আসবে, যখন তদন্তের রহস্য ভেদ করতে তাদের পদক্ষেপকে এই স্বাগত জানাবেন সাধারণ মানুষ। আর সেই পদক্ষেপে যারা দুর্নীতি করেছেন, যারা মানুষের টাকা লুট করেছেন, তাদের যে ঘুম উড়বে, তাতে নিশ্চিত শুভেন্দু অধিকারী। তবে সত্যিই কি এই রকম কোনো পদক্ষেপ দেখা যাবে ইডির পক্ষ থেকে? তার ফলে কি আদৌ চাপে পড়বেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তার দলের একের পর এক নেতা যেভাবে দুর্নীতির জালে জড়িয়ে পড়ছেন, তাতে শেষ পর্যন্ত বড় কোনো পদক্ষেপ হলে তৃণমূল নেত্রীর মুখ দেখানোর মতো জায়গা থাকবে তো? বর্তমানে সেই প্রশ্নই সবথেকে বেশি উঠতে শুরু করেছে সমালোচকদের মধ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!