এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > নজরে আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক পুনরুদ্ধার? তাই কি মমতা দিলেন এই মহাচাল? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে!

নজরে আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক পুনরুদ্ধার? তাই কি মমতা দিলেন এই মহাচাল? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস আদিবাসী সম্প্রদায়ের সমর্থন পাওয়া থেকে অনেকটাই বিঘ্নিত হয়। যার পরে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে এবং আদিবাসীদের মন জয় করতে নানা পদ্ধতি নিতে শুরু করে ঘাসফুল শিবির। উত্তরবঙ্গে গত লোকসভা নির্বাচনে আটটি লোকসভা আসনের মধ্যে সবকটিতেই পরাজিত হতে হয় তৃণমূল কংগ্রেসকে। আলিপুরদুয়ারের আদিবাসী এবং বিভিন্ন জনজাতি গোষ্ঠীর ভোটব্যাঙ্ক চলে যায় ভারতীয় জনতা পার্টির দখলে।

আর এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের ভোটব্যাংকে চাঙ্গা করতে এবার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যানের জায়গায় আনা হল গার্গী নার্জিনারি নারাইনকে। হঠাৎ করেই ডিপিএসসির চেয়ারম্যান পদে অনুপ চক্রবর্তীকে সরিয়ে কেন এই আদিবাসী মুখে নিয়ে আসা হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। জানা গেছে, গার্গীদেবী মঙ্গলবার তার নতুন পদে যোগ দিয়েছেন। আর আদিবাসী মুখকে এই পদে আনার পরই সংবর্ধনার ঢল নামতে শুরু করে।

প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ারকে আলাদা জেলা হিসেবে ঘোষণা করার পর প্রথমে তপশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি সমীর নার্জিনারীকে এই ডিপিএসসির চেয়ারম্যান করা হয়। তবে গত 2018 সালে সমীরবাবুকে সরিয়ে সেখানে আনা হয় অনুপ চক্রবর্তীকে। যার ফলে রাজবংশী থেকে শুরু করে আদিবাসীদের ভোটব্যাংকে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ভরাডুবির সম্মুখীন হলে এবার তারা সেই ডিপিএসসির চেয়ারম্যান পদে নতুন মুখ এনে আবার সেই ভোটব্যাংককে শক্তিশালী করতে চাইছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন কিছুদিন আগেই তৃণমূলের জেলা সাংগঠনিক ক্ষেত্রে ব্যাপক রদবদল আনা হয়েছে যেখানে দশরথ তিরকে থেকে শুরু করে পাশাং লামা, প্রকাশ শিকদার আগের মতো নেতাদের কো-অর্ডিনেটর করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার তপশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের এক মহিলাকে ডিপিএসসির চেয়ারম্যান করে সেই ভোটব্যাঙ্ক ফিরে পেতে চাইছে শাসক দল।

এদিন এই প্রসঙ্গে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিপিএসসির চেয়ারম্যান গার্গী নর্জিনারি নারাইন বলেন, “সবাইকে নিয়েই জেলার প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করব। জেলার গ্রামাঞ্চল, বনবস্তি, চা বাগান অঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রগতিতে আরও জোর দেবে।” কিন্তু এর পিছনে যে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত বিশেষজ্ঞদের কাছে। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “ডিপিএসসির প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন সমীরবাবু। তাকে সরিয়ে রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তর গার্গীদেবীকে চেয়ারপার্সন করেছে। ওকে চেয়ারপারসন করার পেছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ রয়েছে। তবে এই বিষয়ে আমি আর বেশি কিছু বলতে পারব না।”

সব মিলিয়ে এবার হারানো ভোটব্যাংককে ফিরে পেতে জনজাতি সম্প্রদায়ের এই মুখকে শাসকদল যে বাড়তি গুরুত্ব দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভোট নিজেদের দখলে রাখতে রাজ্যের শাসকদলের এই উদ্যোগ কতটা ফলপ্রসূ হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!