এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বড়সড় ধাক্কা বিজেপির, এবার বিজেপি পরিচালিত পুরসভায় পৌর প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব তৃণমূলের – জেনে নিন বিস্তারিত

বড়সড় ধাক্কা বিজেপির, এবার বিজেপি পরিচালিত পুরসভায় পৌর প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব তৃণমূলের – জেনে নিন বিস্তারিত

2019 এর লোকসভা ভোটের পর একের পর এক পৌরসভা পঞ্চায়েত দখল করে নেয় বিজেপি। দলবদলে তৃণমূলের যেসব সদস্য বিজেপিতে যোগ দেন তারাই আবার কিছুদিন যেতে না যেতেই তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছেন। ফলে বিজেপি পরিচালিত বোর্ড আবার হাতবদল হয়ে চলে যাচ্ছে তৃণমূলের কাছে। এবার এই একই ঘটনা ঘটল উত্তর 24 পরগনা গারুলিয়া পৌরসভার বিজেপি পরিচালিত পুর বোর্ডে।

এদিন তৃণমূলের 12 জন জনপ্রতিনিধি গারুলিয়া পুরসভার বিজেপি পরিচালিত পুর বোর্ডের পুরপ্রধান সুনীল সিং এর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিলেন। তিন মাস আগে এই 12 জন পুর তৃণমূল কাউন্সিলরকে নিয়েই সুনীল সিং বিজেপিতে যোগদান করেন।

পরবর্তীতে একাধিক তৃণমূল জনপ্রতিনিধি বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরে এসেছে এবং তিন দিন আগে সুনীল সিং এর আত্মীয় বলে পরিচিত চন্দ্রভান সিং যিনি নির্দল প্রতীকে জিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তিনিও এবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

শ্যামনগর ফিডার রোডের একটি জনসভা থেকে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, সোমবার তাঁরা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসছেন গারুলিয়া পুর বোর্ডের বিরুদ্ধে। ঘোষণা মাফিক অনাস্হা প্রস্তাবটি জমা দেওয়া হয় পৌরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার সুনীল কুমার নস্কর এর কাছে।

এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় সিং জানিয়েছেন, ‘আমরা গারুলিয়া পৌরবোর্ড গঠনে সক্ষম। সেই কারণেই আমরা বর্তমান বিজেপি পরিচালিত পুর বোর্ডের চেয়ারম্যান সুনীল সিং এর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি। এই মুহূর্তে 21 টি ওয়ার্ডের এই পুরসভায় তৃণমূল কাউন্সিলরদের সংখ্যা 12, বিজেপি 8, ফরওয়ার্ড ব্লকের একজন কাউন্সিলর রয়েছে।’

তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, যেসব তৃণমূল কাউন্সিলররা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তারা সেখানে ঠিকঠাক কাজ করতে না পারার জন্যই আবার তৃণমূলে ফেরত এসেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে গারুলিয়া পৌরসভার বর্তমান পুরপ্রধান সুনীল সিং জানিয়েছেন, ‘আমাদের পক্ষে বিজেপির এখন 8 জন প্রতিনিধি রয়েছে, ওদের পক্ষে 12 জন রয়েছে। তাই ওরা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। এরপর যা আইনে আছে তাই করা হবে।’

তবে বিজেপি থেকে তৃণমূল কাউন্সিলররা ফেরত যাওয়ার সুনীল সিং যে উল্লেখযোগ্য মন্তব্যটি করেছেন, তা হল – ‘যারা তৃণমূলে ফিরে গিয়েছে বিজেপি থেকে, তারা তো আবার বিজেপিতে ফিরতে পারে। হাতে 15 দিন সময় রয়েছে, রাজনীতিতে অনেক কিছু হতে পারে। দেখুন কি পরিস্থিতি তৈরি হয়।’

অন্যদিকে তৃণমূল সরকারকে দোষারোপ করে সুনীল সিং বলেন, ‘যেদিন থেকে বিজেপির বোর্ড তৈরি হয়েছে, তখন থেকেই রাজ্য সরকার আমাদের পৌরসভা উন্নয়ন খাতে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাও আমরা সবাইকে মাইনে দিয়েছি, বোনাসসহ এই বিষয়ে কেউ অভিযোগ করতে পারবেনা আমাকে। আমার দল থেকে চারজন কাউন্সিলর তৃণমূলে যেতে পারে তো আগামী দিনে ওদের দল থেকেও 4 জন কাউন্সিলর বিজেপিতে ফিরতে পারে, সবই রাজনীতিতে সম্ভব।’

এই ঘটনায় পৌরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার সুনীল কুমার নস্কর জানিয়েছেন, অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আইন অনুযায়ী যা করার তাই করা হবে। এ বিষয়ে শীঘ্রই মহকুমা শাসকের সঙ্গে বৈঠকে কথা বলা হবে এবং তারপরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিজেপি দখলীকৃত পুর বোর্ড পুনরায় তৃণমূলের হাতে চলে যাওয়ায় বিজেপি স্বাভাবিকভাবেই অশনিসংকেত দেখবে। তবে পরবর্তীতে বিজেপির নতুন পদক্ষেপ দেখার অপেক্ষায় সমগ্র রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!