এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বড়সড় প্রতারণা চক্র হাত বাড়াতে পারে কালীঘাটকে ঘিরে? সতর্ক করল প্রশাসন, জানুন বিস্তারিতভাবে

বড়সড় প্রতারণা চক্র হাত বাড়াতে পারে কালীঘাটকে ঘিরে? সতর্ক করল প্রশাসন, জানুন বিস্তারিতভাবে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি কালীঘাট মন্দিরকে ঘিরে বড়োসড়ো প্রতারণা চক্রের জাল সামনে এলো। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে করোনা পরিস্থিতির জন্য লকডাউন জারি ছিল রাজ্যজুড়ে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সমস্ত মন্দিরগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে গত পয়লা জুলাই কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বরসহ বেশ কয়েকটি মন্দির খুলে যায়। কিন্তু কালীঘাট মন্দিরের গর্ভগৃহ বন্ধই থাকে। এমনকি পুজো নিয়ে সামনে যাবার অনুমতিও মেলেনা স্বাস্হ্যবিধি মেনে চলার কারণে।

এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি কিছু মানুষের ধর্মীয় দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে একটি প্রতারণা চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানাচ্ছে প্রশাসন। কিছুদিন ধরেই মন্দির কমিটির সদস্যদের কাছে খবর আসছে, একটি প্রতারণা চক্র হোম ডেলিভারির মাধ্যমে মন্দির থেকে বাড়িতে প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার কথা বলছে। এই খবর মন্দির কর্তৃপক্ষের কানে যাওয়া মাত্রই তাঁরা ভক্তদের সাবধান করেছেন। করোনা সংক্রমণের জেরে এখনো পর্যন্ত কালীঘাট মন্দিরে দর্শনার্থীদের সংখ্যা আশানুরূপ নয়।

এই অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র প্রতিমা দর্শন সেরেই ফিরে আসতে হচ্ছে ভক্তদের। এ ব্যাপারে কালীঘাট মন্দির কমিটির কোষাধ্যক্ষ কল্যাণ হালদার জানিয়েছেন, মন্দির থেকে বাড়িতে প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি কালীঘাট মন্দিরের পক্ষ থেকে। তাই এ ধরনের প্রতারকদের ফাঁদে পা না দেওয়াই বাঞ্ছনীয়। অন্যদিকে তিনি জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন রাজ্য কিংবা বিদেশ থেকে ভক্তরা অনুদান পাঠাচ্ছেন মন্দিরে। কিন্তু কখনোই তাঁদেরকে হোম ডেলিভারির মধ্যে পূজার প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি জানা গেছে, ফোন করে বা অনলাইনের মাধ্যমেও মন্দিরে প্রসাদ বুকিংয়ের কোন ব্যবস্থা নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেখা যাচ্ছে, মন্দিরের ভেতরে পুজো বন্ধ থাকার ফলে পাঁচ নম্বর গেটের পাশে মন্দির প্রতিমার ছবির সামনে পান্ডারা দর্শনার্থীদের নিয়ে গিয়ে পুজো দেওয়াচ্ছেন এবং যথারীতি ভক্তদের কাছ থেকে মোটাসোটা দক্ষিণা আদায় করছেন। কিন্তু কালীঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, এরকম ধরনের কোনো পুজোর সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক নেই।

করোনা পরিস্থিতিতে ঘরবন্দী অবস্থায় মানুষকে ফাঁদে ফেলতে সবরকম জালিয়াতি চক্র সম্প্রতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতারকদের পাতা ফাঁদ থেকে বাঁচতে গেলে প্রয়োজন চোখ কান খোলা রাখা বলে জানাচ্ছেন প্রশাসন। অতএব এই মুহূর্তে প্রয়োজন প্রশাসনের নির্দেশ মেনে কোন ধর্মীয় ফাঁদে পা না দেওয়া। আপাতত কে বা কারা কালীঘাট মন্দিরের প্রসাদ সংক্রান্ত প্রতারণা চক্রের জাল ছড়িয়েছে সে ব্যাপারে তদন্তে নামছে পুলিশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!