এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেখাতে পারলেন না বিক্ষুব্ধরা – কোন ম্যাজিক জেনে নিন

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেখাতে পারলেন না বিক্ষুব্ধরা – কোন ম্যাজিক জেনে নিন

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগেই আছে। একের পর এক ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠছে। এবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ইংরেজবাজার ও পুরনো মালদায়। সেখানকার পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কাউন্সিলররা।

কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাব এনেও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আস্থা প্রস্তাব দিতে হলো বিক্ষুব্ধ চেয়ারম্যানদের। তবে যে চেয়ারম্যানদের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তদন্ত হবার আশ্বাস দিয়েছেন এবং তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানান। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কাউন্সিলর বৈশিষ্ট্য ত্রিবেদী জানান ‘জেলার বর্তমান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে 2019 সালে পৌর নির্বাচন হলে কোনোটাতেই দল দু-তিনটি ওয়ার্ডেও জিততে পারবেনা।’

সম্প্রতি মালদার ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদার পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে ওই পুরসভারই বেশকিছু কাউন্সিলর। অবস্থা পর্যবেক্ষণে গোলাম রব্বানীকে পাঠানো হয় মালদায়। কিন্তু গোলাম রাব্বানী ও মালদা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর এ সমস্যার সমাধান খুঁজে না পেলে প্রত্যেককে পুরমন্ত্রী কলকাতার অফিসে ডাকার ব্যবস্থা করেন।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ চেয়ারম্যান বৈশিষ্ট্য ত্রিবেদী জানান, ‘পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকার পর প্রথমে জেলা নেতৃত্ব আমাদের তলব করে। সেখানে পর্যবেক্ষক গোলাম রাব্বানী ও জেলা তৃণমূল সভাপতি মৌসম নুর আমাদের কথা শোনেন। সেই সময় এই অনাস্থা ডাকার হোতা ভাইস চেয়ারপার্সন চন্দনা হালদারই তাদের সমস্ত কথা খুলে বলেন। তবে জানিয়ে দিয়েছিলাম আমরা কেউই দলের বাইরে যাব না। এর আগেও আমরা কার্তিক ঘোষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু তখন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরপর মৌসম নূরকে জেলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি প্রত্যেক কাউন্সিলরের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলেন। প্রত্যেক কাউন্সিলর তাকে কার্তিক ঘোষের বিরুদ্ধে জানান তিনি স্বীকার করেছেন। তখন তিনি দুই পৌরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে কলকাতায় বসার কথা বলেন। আমরা তাঁকে তখনই জানিয়ে দিয়েছিলাম, দল বললে আমরা নিজেদের অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেব। কিন্তু তার কথায় আমরা কলকাতা থেকে ফিরে এসে প্রস্তাব প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিই।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পুরমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ইংরেজবাজার ও পুরনো মালদা দুই পুরসভাতেই একটি কমিটি গঠন হবে। যেখানে সমস্ত অভিযোগ শোনা হবে। এছাড়াও একটি তদন্ত কমিটি গঠন হবে, পুরসভার চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখার জন্য‌। দল এক্ষেত্রে বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের আশ্বাস দিয়েছেন, যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে‌।

এ নিয়ে বৈশিষ্ট্য ত্রিবেদী আবারো বলেন, ‘এখনই যদি দুই চেয়ারম্যানের লাগাম না কষা হয়, তবে দুই হাজার কুড়ি সালের জনগণ এর বিচার করবে। এই দুই চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ভোট হলে ইংরেজবাজার কিংবা পুরাতন মালদা, কোথাও দু-তিনটি ওয়ার্ডেও দলের প্রার্থীরা জিততে পারবে না। এটা আমি আগাম বার্তা দিয়ে রাখলাম। আমরা দলকে গুরুত্ব দিচ্ছি, তবে দল আমাদের কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে কিনা, এখন সেটাই দেখার। আমি পৌর মন্ত্রী কে বলে দিয়েছি, দলের প্রত‍্যেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক। আমি পাঁচবারের কাউন্সিলর। আমার বিরুদ্ধেও গোড়া থেকে তদন্ত করা হোক। তবে যাই হোক না কেন, অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করবই।’

তবে এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট, তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেশ ভালোভাবেই মাথাচাড়া দিয়েছে যা পরবর্তীকালে যথেষ্ট মাথাব্যথা দেবে তাঁদের বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!