এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > রাজ্যপাল ‘সক্রিয়’ হতেই ক্ষোভ-উষ্মা উগরে দিলেন তৃণমূল মহাসচিব

রাজ্যপাল ‘সক্রিয়’ হতেই ক্ষোভ-উষ্মা উগরে দিলেন তৃণমূল মহাসচিব


সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের সাথে সরকারের বিভিন্ন বিষয়ে তীব্র মতবিরোধ দেখা গেছে। তৃণমূলের তরফে রাজ্যপালকে কোন সময়ই নিরপেক্ষ ভাবা হয়নি। সংঘাত আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সদ্য ঘটে যাওয়া যাদবপুর কাণ্ডে। যাদবপুরে কেন্দ্রীয় নেতা বাবুল সুপ্রিয়র ওপর হামলার ঘটনায় রাজ্যপাল যারপরনাই নিন্দায় মুখর হয়েছিলেন তৃণমূল সরকারের।

প্রসঙ্গত জানা যায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার পরেও ছাত্র-ছাত্রীদের ঘেরাও থেকে তিনি যখন উদ্ধার পান না, তখন ময়দানে নামেন রাজ্যপাল স্বয়ং।  কিন্তু রাজ্যপাল যাদবপুর পৌঁছান এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করে তাঁর গাড়িতে করে নিয়ে বেরিয়ে যান। এর পরেই শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। যাদবপুরে প্রশাসন যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি সে কথা রাজ্যপাল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। এবার সেই ঘটনারই প্রভাব পরল রাজ্যপালের ডাকা শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকে।

রাজ্যপালের ডাকা শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকে শাসকদলের তরফ থেকে কেউ না থাকায় রাজ্যপাল উষ্মা প্রকাশ করেছেন সাংবাদিকদের কাছে। অন্যদিকে রাজ্যপালকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যপালের দিকেই আঙুল তুলে তিনি বলেন, ‘তিনি অপ্রয়োজনীয়ভাবে অতি সক্রিয় হচ্ছেন। সাংবিধানিক ক্ষমতার অপপ্রয়োগ ঠিক নয়। নতুন রাজ্যপাল নিরপেক্ষ নন।’ যাদবপুরের সংঘাতের ধারা আবারও শিলিগুড়ির ঘটনার প্রকাশ পেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

রাজ্যপাল এদিন শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠক ডাকেন জনসংযোগের আশায়। বিরোধী দলের নেতারা উপস্থিত থাকলেও শাসকদলের কোন নেতা, এমনকি পুলিশ, প্রশাসন, আমলারা কেউই উপস্থিত হননি রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকে। এই ঘটনায় রাজ্যপাল ধনকার অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছেন। তিনি তাঁর হতাশা চেপে রাখতে পারেননি। তবুও তিনি সৌজন্যবোধের মর্যাদা রেখে বলেন, ‘আশা করেছিলাম শাসকদলের প্রতিনিধিরা থাকবেন, তবে ওঁরা নিশ্চয়ই কোন কাজে আটকে গিয়েছেন, আশা করি পরের বৈঠকে তাঁরা থাকবেন।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে যাদবপুর নিয়েও রাজ্যপাল একজন আচার্য হিসেবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন এদিন। তিনি জানান, ‘শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের সমস্যার সমাধান সম্ভব। শিক্ষায় নজর না দিলে আমরা ধ্বংস হয়ে যাব।’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি যে সম্মান পেয়েছেন সেই সম্মান কে বজায় রাখতে তিনি যে সমান আগ্রহী সে বিষয়ে স্পষ্ট করে দেন তিনি। এর পরেই রাজ্যপালের বক্তব্য নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সরব হয় শাসক মহল।

তবে রাজ্যপালের বৈঠকে শাসক দলের অনুপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চরম বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী দল দাবি করেছে, যাদবপুরের রেশ এখনো কাটেনি শাসকদলের অন্তর থেকে। রাজ্যপালের সাথে সংঘাত তাঁরা এখনও বজায় রেখে চলেছে। রাজ্যপালের ডাকা প্রশাসনিক বৈঠকে তৃণমূলসরকারের তরফ থেকে অনুপস্থিত থেকে রাজ্যপালের মানহানি করল তাঁরা।

এই ঘটনায় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, রাজ্যপালের ডাকা প্রশাসনিক বৈঠকে না গিয়ে রাজ্যপালের প্রতি তাদের অনাস্থা এবং ক্ষোভ দুটোই স্পষ্ট করে দিলো শাসক দল। তবে পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের এধরনের প্রশাসনিক বৈঠক আবার ডাকেন কিনা এবং সেই বৈঠকে শাসক মহল থেকে কেউ উপস্থিত থাকেন কিনা, সেদিকে নজর রাখবে তামাম রাজনৈতিক দল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!